দেশীয় রাজনীতির ইতিহাসে বার বার উঠে এসেছে এই বিশেষ অধ্যায়টি। শুধুমাত্র বদলেছে নাম আর চরিত্র গুলি। আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকম বহু ঘটনাই আজ সাক্ষী আছে যা তৎকালীন সময়ে ছিল একটি জঘন্যতম অপরাধ যা জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত হতে সময় লেগেছে বহু যুগ। বার বার সমাজকর্মীরা খ্যাত হয়েছেন শাষকদলের বদান্যতায়। কখনও তা ছিল আশীর্বাদ আবার কখনও তা ছিল অভিশাপ।
সাম্প্রতিক কালে রাজ্য রাজনীতির অবস্থা ঠিক কি তা নিয়ে আমরা নতুন করে কিছু বলতে চাইনা। গরু পাচার, চাকরি, শিক্ষা, বালি পাচার ইত্যাদি নানান দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল বর্তমান রাজ্য সরকারের একের পর এক শীর্ষ নেতৃত্ব কে গ্রেফতার করেছে। রাজ্যের প্রতিটি বিরোধী দল প্রতিদিন প্রতি নিয়ত শাষক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে চলেছেন। এমনকি তারা অভিযোগ করছেন হাইকোর্টের বিচারক দের অপরেও নিরপেক্ষ বিচারের কারনে নেমে আসছে শাষকের রোষানল।
প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম ও বিখ্যাত কিছু ইউটিউবার রাজ্য সরকার কে তাদের নানান দুর্নীতির সমালোচনা করে চলেছেন সকাল থেকে রাত অবধি। কিন্তু রাজ্যের এই দুর্নীতির পিছনে লুকিয়ে থাকা একটা গভীর ষড়যন্ত্রের কথা কেউ বলছেন না।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ “বদলা নয় বদল চাই” ভেবেই তো রাজ্যের শাষক দের পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু কিভাবে তা সম্পূর্ণ জনগনের বিপক্ষে চলে গেল? কি ভাবে গগনচুম্বী দুর্নীতি পাহাড় হলো বা কিভাবে তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হল? কারা এর পিছনে মূল ষড়যন্ত্রী? সত্যিই কি সব দোষ মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়ের?
আমরা কখনই শাষক দলের বা মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হয়ে তাবেদারি করছি না, তিনি ও তার দল কতটা দুর্নীতিগ্রস্থ তা বিচার করবেন আপনারা। আমরা না তো শাষক দলের থেকে কোন রকম বিজ্ঞাপন পাই না তো কোন রকম সহযোগিতা। এমনকি বার বার আমাদের সরকারি নানান অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার থেকেও বঞ্চিত রাখা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে শাষক দলের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে বা বললে তার কি ফল হতে পারে তা প্রায় সকলেই অবগত কিন্তু ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সমাজকর্মী রাজীব সরকার তার সামাজিক মাধ্যমে শাষক দলের নানান শীর্ষ নেতৃত্ব ও প্রষাসনের উচ্চপদস্থ আই পি এস অফিসার দের নাম উল্লেখ ( ট্যাগ ) করে লিখছেন নানান বিস্ফোরক তথ্য। অদ্ভুতভাবে তার এই লেখা নিয়ে রাজ্যের শাষকদল বা প্রষাসন থেকে শুরু করে প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমগুলি নিরুত্তাপ। কিন্তু কেন? এটাই জানতে আমরা গিয়ে ছিলাম রাজীব সরকারের কাছে।।
তার এই সাক্ষাতে উঠে এলো বেশ কিছু সাংঘাতিক তথ্য। তাকে অপরাধ জনিত মামলায় জড়িয়েই নাকি এই রাজ্যে দুর্নীতির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল সেটাই দাবী করছেন সমাজকর্মী রাজীব সরকার।
আপনাদের জন্য রইলো সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও, অবশ্যই এই সাক্ষাৎকারে বলা যাবতীয় বক্তব্যের দায় বক্তার নিজের। এখানে দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলসের কোন দায় নেই। শুধুমাত্র শিক্ষামূলক সংবাদ পরিবেশনার লক্ষ্যেই এই প্রতিবেদন।