Home » পদত্যাগ করতে রাজি আছি, আমিও চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পদত্যাগ করতে রাজি আছি, আমিও চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পদত্যাগ করতে রাজি আছি, আমিও চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত দুদিন যাবত জুনিয়র ডাক্তারেরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসে রয়েছেন। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরত কর্মসূচি পালন করছেন।
অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা

এদিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে একটি সবার আয়োজন করেছিল। এখানে তিনি ডাক্তারদের দাবি শুনবেন এবং তাদের কথার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তাও জানিয়ে ছিলেন। তবে টানা দু’ঘণ্টা স্বভাব কমিটিতে বসে থাকা সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কেউ খাওয়াতে উপস্থিত হননি। ডাক্তারদের দাবি ছিল তাদের সম্পূর্ণ মিটিংটি লাইভ স্ট্রিমিং করে করতে হবে। এই দাবিতে আপত্তি জানানোর কারণে জুনিয়ার ডাক্তারেরা মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান করা সভায় উপস্থিত হননি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন চিফ সিকিউরিটি মনোজ পান, হোম সিকিউরিটি নন্দিনী,MOS চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, এবং পুলিশ ডিজি রাজিব কুমার। দু’ঘণ্টা সেই সভায় অপেক্ষা করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন এবং সেখানে তিনি জানান “মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি, আমি পদ চাই না।” “প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করছি আমরা। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে, আমাদের সরকারকে অসম্মান, অপমান করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা, অপপ্রচার হয়েছে। মানুষ কলকাতায় এসেছিলেন আন্দোলনে, ওঁরা জানতেন না এর মধ্যে রং রয়েছে। আশাকরি মানুষ বুঝতে পারছেন, ওরা বিচার চায় না, ওরা চায় চেয়ার। আমি মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই, মানুষ বিচার পান, তিলোত্তমা বিচার পান, আর সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পান।” “আমি কালও বসেছিলাম। এলেই চলে আসতাম। আমি ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার হিসেবে দেখি না এটাকে। বড়রা ছোটদের ভালবাসে। আমি জানি সিনিয়র ডাক্তার কষ্ট করে কাজ করছেন। তাঁদের অভিনন্দন রইল। বাংলরা মানুষের আবেগের কাছে বলব, আমি ক্ষমা চাইছি। আপনারাও আশায় ছিলেন আজ সমাধান হয়ে যাবে। আমি দুই ঘণ্টা বসে আছি, তিন দিন ধরে বসে আছি। যাঁদের বিরুদ্ধে ওরা অভিযোগ করছে, তাঁদের অনেকেই হয়ত একমাস আগে জয়েন করেছে। অনেককে বৈঠকেও রাখিনি। তার পরও বৈঠক ডেকে, আসবেন বলেও, নবান্নের গেট থেকে যাঁরা এলেন না, আমি ক্ষমা করে দিলাম। অনুরোধ করছি, কাজে যোগ দিন। আর্ত রোগীদের বাঁচান। আর কোনও মৃত্যু যেন না হয় বাংলায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!