পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ ২১ শে জুলাই মহা ধূমধাম করে শহীদ দিবস পালিত হচ্ছে, অথচ তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জেলে দিন কাটাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে আগামী ২৭ শে জুলাই বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বর্তমান আইনজীবী সামসুদ্দিন সামস দাবী করছেন যেহেতু পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি তাই তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। ২৭ শে জুলাই আইনজীবীর সওয়ালে তিনি জামিন পান কিনা সেটাই এখন দেখার।
সামসুদ্দিন সামসের দাবী ইডি যে অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এনেছেন তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। অন্য একজনের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে তার সাথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি আরও বলেন এফআইআর এ পার্থর নাম নেই, কোনও অভিযোগও নেই। এই সবের পাশাপাশি গত এক বছরে তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও ইডির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধারের বিষয়েও যুক্তি দিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, তাই যে কেউ তার কাছে সই সাবুদ করার জন্য অ্যাডমিট কার্ড জমা দিতেই পারেন। এই অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধারকে তিনি কখনই কোনও প্রামান্য নথি হিসেবে গ্রহণ করতে রাজী নন।
পার্থর বাড়ি তল্লাশি নিয়েও ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে আইনজীবী। তিনি বলছেন কোনও রকম সরকারী নিয়ম না মেনেই পার্থর বাড়ি তল্লাশি করা হয়। কোনও রকম আইনি অর্ডার তারা দেখায়নি। প্রায় ৩২ ঘণ্টা তল্লাশি করে তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তার বাড়ি থেকে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যারা সেদিন তল্লাশি করতে গেছিলেন তাদেরকেও স্বতন্ত্র ব্যক্তি বলে মনে করছেন না তিনি। তারা প্রত্যেকেই ব্যাঙ্কে কর্মরত। তাই তাদের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রাখতে পারছেন না আইনজীবী। এখন তার এই সমস্ত কথার ও প্রমানের ওপর ভিত্তি করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি বিচার পান সেটা দেখার জন্যই এখন বসে আছে বঙ্গবাসী।