বেশ কয়েক বছর ধরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দেখা যাচ্ছে একের পর এক অশনি সংকেত।। এই মন্দির নিয়েই রয়েছে আশ্চর্য রহস্য যা আজও সকলের অজানা।
পুরীর মন্দির ভূতল পৃষ্ট থেকে ২১৪ ফিট উচ্চতা হওয়া সত্বেও মাটিতে কোন রকম ছায়া পড়ে না। এমনকি এই মন্দিরের ওপরদিয়ে কোন পক্ষীকেও উড়তে দেখা যায়না।। শোনাযায় এই মন্দিরের মধ্যে রয়েছে এক বিশাল রান্নাঘর যেখানে নিয়মিত প্রভু জগন্নাথ বলরাম ও শুভদ্রার জন্য ৫৬ রকমের ভোগ রন্ধন করা হয়। মন্দির প্রতিষ্টার সময় থেকেই ভোগ রান্নার প্রয়োজনে জলের একটি নালিকা প্রবাহিত হয় যা সরাসরি গঙ্গার সাথে যুক্ত কিন্তু টার সংযোগ স্থল আজও সকলের অজানা। এই মন্দিরের চূড়ায় উড়তে থাকা ধ্বজা, হওয়ার স্রোতের বিপরীতে উড়তে থাকে কেন এসবের রহস্য আজও অজানা।।
দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাইত পুরোহিতরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি কঠোর নিয়ম মেনে প্রভু জগন্নাথ বলরাম ও শুভদ্রার নিত্যসেবা করে থাকেন।। ভারতের অন্যতম এই হিন্দু মন্দিরে আজও হিন্দু ব্যাতিত অন্য কোন ধর্মের মানুষ কে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না। এমনকি কোন ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকেও নয়। কয়েক বছর আগে পুরীর মন্দিরের ধ্বজায় কোন এক অজানা কারণে আগুন ধরে যায়, হিন্দু ধর্মালম্বী পন্ডিত দের কাছে যা ছিলো এক অশনি সংকেত। এর কিছুদিন পরেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে প্রানহানির সংবাদ আসে।। এবার আবার ঘটে গেল এক অঘটন।
কদিন আগেই মহাধুমধাম করে পুরীর রথ যাত্রা পালিত হয়। রথ আদি অনন্ত নিয়মানুযায়ী গুন্ডিচায় পৌঁছে যায়। এখানেই গতকাল রাতে পাহুন্ডি আচার পালনের সময় প্রভু বলরামের মূর্তি কে পুরোহিতরা দুলিয়ে রথ থেকে নামিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করাতে গেলে সবাই পা পিছলে পড়ে যান। প্রভু বলরাম নাকে আঘাত পেয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছে তার সাথে একাধিক পুরোহিত আহত হয়েছেন। তাদের সকলকেই দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।। প্রভু বলরামের এই পড়ে যাওয়া কেও হিন্দু পন্ডিতরা অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন।।