ছোটবেলা থেকে একটি ছেলে তার সমস্ত ভালোলাগা, ভালোবাসার জিনিস বিসর্জন দিয়েই তার জীবনে পথ চলা শুরু। ছোটো থেকে তাকে শেখানো হয় সে যাতে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হয় ও উপার্জন করতে শেখে। তাকে সেখানো হয় তার মন শক্ত হতে হবে, সহজে সে যেন কান্নায় ভেঙে না পড়ে, কিন্তু বোঝার কেউ নেই তাদেরও একটা বাচ্চা সুলভ মন ও আবেগ আছে।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখন পুরুষেরাই হচ্ছেন অপমানের স্বীকার।
একটি ছেলে যখন রাস্তায় কোনো প্রকার একটি মেয়ের দ্বারা অশ্লীলতার স্বীকার হয় তাহলে সেটির প্রতিবাদে কেউ আসে না, কিন্তু একটি মেয়ে যখন কোনোরকম সাহায্যের জন্য চিৎকার করে সে সাহায্য পায়। আমাদের দেশে মেয়েদের সুবিধার্থে তাদের জন্য প্রচুর নিয়মকানুন আছে কিন্তু ছেলেদের সেইরকম কোনো সুবিধা নেই। পুরুষের জীবন পুরোটাই তো চলে যায় অন্যদের খুশি করতে, ছোটবেলায় থেকেই সে অপরের খুশিতে নিজের খুশি খুঁজে নিতে শুরু করে কিন্তু তাদের কথা কেউ ভাবে না।
একটি পুরুষের কান্নার আওয়াজ কেউ পায় না।
সমাজে পুরুষদের সম্মানের স্থানটা ধীরে ধীরে নিচুতে নেমে আসছে। পুরুষের সাহায্যের জন্য কোনো আইন গড়ে ওঠেনি, তাদের জন্য কোনো পুরুষ আয়োগও নেই। মহিলাদের সপক্ষে এবং পুরুষদের বিপক্ষে সমস্ত আইন গড়ে উঠেছে সুতরাং কোনো সৎ ব্যক্তিরাও এই কারণে অনেক সময়েই সাজা পেয়ে থাকেন।
কোনো মহিলার গায়ে যদি কোনোরকম ভাবে কোন কারণে পুরুষের হাত লেগে যায় তাহলে সেটাকে ইভ টিসিং করছে বলে বলতে পারে সেই মহিলা সহজেই, কিন্তু একটি মহিলার হাত যদি কোনো পুরুষের শরীরের কোনো অংশতে লাগে তাহলে সেটা ইভ টিসিং বলা হয়না অথবা বললেও কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। বিভিন্ন রকম ভাবে পুরুষ আমাদের সমাজে লাঞ্ছিত, অপমানিত হয়েই আসছেন ক্রমাগত। এ সমাজে পুরুষদেরই কি শুধু সমস্ত দায়িত্ব, কর্তব্য মেনে চলতে হবে মহিলাদের প্রতি?