খিচুড়ি নানা পদের, চেটে পুটে গন্ধরসে
উঠুক ভরে বঙ্গলোক ,কলসি সবার সঙ্গী হোক।।
এটা কোন স্লোগান নয় বা ছড়া কিংবা কবিতাও নয়। এটা হল একটা মানুষের স্বপ্ন, একটা আবেগ যা সম্পূর্ন বাংলার ঐতিহ্যকে ঘিরে। শ্রী মানতাজ আলি যে এই কলসি কে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই কলসি জল ভরা কলসী নয়, এই কলসী হল স্বপ্ন আবেগ ও ভালোবাসা ভরা। এ হলো কলসীর খিচুড়ি, যেটা নিয়ে কলসী স্রষ্টা শ্রী মানতাজ আলী খিচুড়ি কে নানান পদে রুপান্তরিত করেছেন। যেমন নিরামিশ খিচুড়ি, ভূনা খিচুড়ি, ডায়েট খিচুড়ি, পালং পনীর খিচুড়ি, চিকেন ও মাটন কোপ্তা, খিচুড়ি চিকেন, মাটন কিমা খিচুড়ি, চিংড়ি খিচুড়ি ও বাঙালির সব থেকে প্রিয় ইলিশ খিচুড়ি। আজ বলতে বাধা নেই এত অল্প সময়ে শ্রী মানতাজ আলীর এই অভাবনীয় সৃষ্টি কে বাংলার মানুষ সাদরে গ্রহন করেছেন। আজ যেখানে সবাই বিভিন্ন খাবারের পদ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছেন সে মোগলাই হোক, চাইনিজ, সাউথ ইন্ডিয়ান বা কন্টিনেন্টাল অথবা সম্পূর্ণ বাঙালী খাবার নিয়ে। সেখানে বাঙলার ঐতিহ্য ও বাঙালীর আবেগ এই খিচুড়ি যেন উপেক্ষিত হয়ে রয়েছে। শ্রী মানতাজ আলী সেই খিচুড়িকে নিয়েই তার স্বপ্নের পথ চলা শুরু করলেন। তার লক্ষ্য হল কলসিকে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটা মানুষের খাদ্য তালিকায় কলসি যেন জায়গা করে নিতে পারে এটা হল শ্রী মানতাজ আলীর প্রধান লক্ষ্য।
এই কর্মকান্ডে ওনার সাথে যারা যারা আছেন তারা হলেন প্রধান শেফ সুব্রত মজুমদার, এ কুমার বোস, সুব্রত চ্যাটার্জী এবং মেঘা ঘোষ এছাড়াও আরো অনেকে আছেন এই কলসি পরিবারের সাথে যুক্ত, আর একজনের নাম উল্লেখ না করলেই নয় তিনি হলেন শ্রী মানতাজ আলীর স্ত্রী ওয়াহিদা।
কলসির তরফ থেকে ২০২২ এর দূর্গা পুজায় সমস্ত বাঙালী তথা সব সংগীত প্রেমীদের উপহার দিতে চলেছেন পুজোর বাংলা গানের এলব্যাম পুজো এলো বলে। আরাস ভিশনের ব্যবস্থাপনায় রাজা ব্যানার্জীর গানের কথায় ও পরিচালনায় এবং এভ তীর্থের সঙ্গীত পরিচালনায় ৫ই সেপ্টেম্বরে রিলিজ হলো পুজো এলো বলে।