অঙ্কিতা দাস, কলকাতা – “ইনফিনিটি গ্রুপ” – এর অন্যতম প্রচেষ্টা হল “জাগৃতি ধাম” । জাগৃতি ধামের পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হল এক বিশেষ আলোচনা বৈঠক, যেখানে মূলত তুলে ধরা হয় বর্ধিত বার্ধক্য জনসংখ্যার ভবিষ্যৎকালিন সম্পর্কে সতর্কতা এবং প্রবীণদের স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার বিষয়ে যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজনীয় দিকগুলি।
এই আলোচনা সভাটি বুধবার অর্থাৎ ৭ই জুন ২০২৩- এ প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এবং এই বিচার বিবেচনার সভায় সঞ্চালনের দায়িত্ব ছিলেন ইনফিনিটি গ্রুপের মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিন্দ্য দাস। বৈঠকে বার্ধক্য সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট অফ জিরোন্টোলজির অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ডাঃ ইন্দ্রানী চক্রবর্তী। এছাড়াও এই আলোচনা সভায় বিশিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের বক্তব্যর মাধ্যমে আলোচনা সভা আরও কার্যকরী হয়ে ওঠে।
কনসাল্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট চিত্রাঙ্কনা বন্দোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন । তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি কেবলমাত্র শারীরিক সুস্থতাই নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার বিষয়টির উপর জোর দেন, যেমন ডিপ্রেশন এবং দুশ্চিন্তা এবং দুর্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অ্যালজাইমার্স অ্যান্ড রিলেটেড ডিসঅর্ডার্স সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার, কলকাতা চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি জেনারেল নীলাঞ্জনা মৌলিক। তার বক্তব্যে উঠে আসে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিচর্যা কারীদের মুখোমুখি হওয়া প্রতিদিনের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি।আলোচনা সভার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ইন্দ্রানী চক্রবর্তী উপস্থাপন করে সিনিয়র সিটিজেন অ্যাক্ট ২০০৭-এর নানাধরনের দিক।
সেখানে উঠে আসে প্রবীণদের শারীরিক সুস্থতার কথা এবং মানসিক সুস্থতার বিষয়টি এবং তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া । এছাড়াও উঠে আসে বর্ধিত বার্ধক্য জনসংখ্যার ভবিষ্যৎ কালীন সম্পর্কে সতর্কতা , বয়স্ক মানুষদের যথার্থ পরিচর্যা করা অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের একটিভিটিস, প্রযুক্তিগত সাহায্য করা এবং তাদের মানসিক , শারীরিক , স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়ের মতন প্রয়োজনীয় দিকগুলি। জাগৃতিধাম ইতিমধ্যেই ইনফিনিটি গ্রুপের সাহায্যে পথ অতিক্রম করা শুরু করেছে। অন্যান্য ” গ্রিন বিল্ডিং” – এর মতো এই বাসস্থান কেন্দ্রর অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ মূল লক্ষ্য হলো ইকো ফ্রেন্ডলি বা পরিবেশ বান্ধব রাখা । এছাড়াও, “জাগৃতি ধাম”-এ রয়েছে বিভিন্ন অধুনাতন সুযোগ-সুবিধা এবং ডিমেনশিয়া ও পার্কিনসন্স রোগীদের জন্য বিশেষ সুব্যবস্থা ও। এবং আবাসিকদের নিরাপদের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় বিষয় এবং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখানে।
ইতিমধ্যেই জাগৃতিধাম কর্তৃপক্ষ ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল ( IGBC) – এর তরফে প্রশংসাপত্র পেয়েছে এবং প্রবীণ নাগরিক আবাস কেন্দ্র হিসেবে লাভ করেছে “সিলভার রেটিং”-ও । সেই নিরিখে পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথম ও সমগ্র ভারতের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাগৃতি ধাম।