শৈশবে তাঁর অভিনয় প্রতিভা দেখেই বিখ্যাত অভিনেতা মেহমুদ আলী তাকে নাম দিয়েছিলেন জুনিয়র মেহমুদ। সেই থেকেই নইম সৈয়দ আপামোর বিনোদন প্রেমী মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন জুনিয়র মেহমুদ নামেই। তার কমেডি চরিত্র গুলি ছিল মেহমুদ আলীর সমতূল্য।
একাধিক হিন্দি সিনেমা ও ছোট পর্দায় অভিনয়ের সাথে প্রযোজনা ও গায়ক হিসাবে তিনি ছিলেন ভারতীয় বিনোদন জগতের এক মহীরুহ যাকে সকলেই মনে রেখেছেন “হাম কালে হ্যায় তো কয়া হুয়া দিল ওয়ালে হ্যায় “। জন্ম ১৫ই নভেম্বর ১৯৫৬। ১৯৬৭ সালে নৌনিহাল ছবিতে তার প্রথম অভিনয়। তারপর থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। মহব্বত জিন্দেগী হ্যায়, বাসনা, সাঙ্ঘর্ষ, সুহাগরাত, পরিবার, ফরিশতা, ব্রহ্মচারী, বিশ্বাস, সিমলা রোড, রাজা সাব, প্যায়ার হি প্যায়ার, নাতিজা, চান্দা অউর বিজলী, বালাক, অঞ্জনা, দো রাস্তে, ইয়াদগার, কাটি পাতং, ঘর ঘর কি কাহানি, বাচপন, আন মিলো সাজনা, ওস্তাদ পেদ্রো, রামু ওস্তাদ, লডকি পাসান্দ হ্যায়, ক্যারাভান, হাতি মেরে সাথী, ছোটি বাহু, চিঙ্গারী, হাঙ্গামা, খোজ, হরে রাম হরে কৃষ্ণ, মা দা লাডলা, আপ কি কসম, আমির গারিব, তেরী মেরী এক জিন্দরি, আপ বিতি, গীত গাতা চল এর মতো বহু বিখ্যাত হিন্দি চলচিত্রে ।
তার শেষ অভিনয় ছিল ২০১৯ সালে সাব টিভি তে তেনালি রামা সিরিয়ালে মোল্লা নাসিরুদ্দিন এর চরিত্রে। কিন্তু ২০১৯ এ শরীরে অজান্তেই বাসা বাঁধে কর্কট। ক্রমশই কর্কট নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। বিনোদন জগতে আর থাকা সম্ভব হয়নি। মৃত্যু আসন্ন বুঝেই শেষ বারের মতো দেখা করতে চেয়েছিলেন তার প্রিয় বন্ধুদের সাথে। তার শেষ ইচ্ছা পুরন করতে তার পাশে এসে দাড়িয়েছিলেন তার প্রিয় তিন বন্ধু বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা জিতেন্দ্র, শচীন ও জনি লিভার সহ অনেকেই।
আজ ভোরে জুনিয়র মেহমুদ শেষ নিস্বাস ত্যাগ করেন। খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই বলিউডে নেমে আসে শোকের ছায়া।