বৈশালী মণ্ডলঃ বিবাহ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে প্রথমত প্রেমঘটিত বিবাহ দ্বিতীয়তঃ সম্বন্ধ ঘটিত বিবাহ এছাড়াও পুরাণে অনেক বিবাহের কথা বলা আছে যেটা মানুষের কাছে অজানা সেরমই অজানা আঙুল ছুঁয়ে বেছে নেওয়া হবে জীবনসঙ্গিনীকে এই পন্থা ও,
উত্তর পূর্ব ভারতের একমাত্র মাতৃ পিণ্ডদানের স্থান এই মালদা রামকেলি লীলা ধাম মেলাটি ৫০৮ বছরের প্রাচীন এটি হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের মেলাও অতীতের খাতা খুললে জানা যাবে এই রামকেলি লিলা ধাম এর অনেক ইতিহাস যেমন হুসেন শাহের রাজত্বকালে এই রামকেলি তেই আসেন একসময় শ্রীচৈতন্যদেব তখন বাংলার রাজধানী তখন বাংলার রাজধানী ছিল গৌড় এই মেলা প্রাঙ্গণের কদম গাছের নিছে সনাতন গোস্বামীকে কৃষ্ণ মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেনঁ। এই বিবাহ এ প্রেম ভালোবাসা আর সম্প্রতীর এক যোগাযোগ তৈরি করে আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে বহু মুসলিম হিন্দু সম্প্রদায় মানুষ এখানে এসে থাকে এই বিবাহে প্রেম ই হল শুরু এবং শেষ কথা।
১৪ ই জুন মঙ্গলবার রাত্রে এই মেলার উদ্বোধন হয় চলবে প্রায় এক মাস শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং রাধা গোবিন্দ মদনমোহনের বার্ষিক উৎসব শুরু হবে। সাতদিন ধরে চলে পূজাপাঠ এবং উৎসব। মালদহে ইংরেজবাজার ব্লকের মহদীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঐতিহাসিক নিদর্শন ক্ষেত্র গৌড় যাওয়ার পথেই রয়েছে রামকেলি ধাম। যেখানে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের পদচিহ্ন রয়েছে। এই পদচিহ্নকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মন্দির। রয়েছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিশাল একটি মূর্তিও।
রয়েছে রাধাগোবিন্দ মদনমোহনের বিগ্রহও। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মেলায় আসেন আসেন অনেক সন্ন্যাসী ও বাংলাদেশের বহু মানুষের ভিড়ের কোপ পড়েছে এই মেলায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর আনা হয় সিসিটিভি ক্যামেরার অধীনে থাকে এই পুরো মেলা প্রাঙ্গণ জেলাশাসক পুলিশ সুপার এবং সভাধিপতি নিজেই দায়িত্ব সামলান। তবে এ বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে সব রকম জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
এখান থেকে বহু ছেলে মেয়ে নিজের খুশিমতো জীবনসঙ্গীকে পছন্দ করতে পারে এরা লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকেন তার পছন্দমতো জীবনসঙ্গীকে নিয়ে যায় এটাই এখানের ঐতিহ্য।