অম্বিকা কুন্ডু | কলকাতা, ২৬ শে আগস্ট ২০২৪
২৬শে আগস্ট, SFI(ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি) এর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই সম্মেলনে তারা জানান তিলোত্তমা এর ওপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজ্যের সকল ছাত্র-ছাত্রী ও মানুষ একজোট হয়ে লড়াই করছে। কিন্তু কিছু মুখোশধারী মানুষ তাদের মধ্যে থেকে সেই জোটবদ্ধতাকে ভাঙ্গার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই SFI এর পক্ষ থেকে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ওই মুখোশধারী মানুষদের থেকে সচেতন থাকতে বলছেন।
তারা এও জানিয়েছেন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিজেদের পড়ালেখা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। তাই আগামীকাল ২৭শে আগস্ট নবান্ন অভিযানে কারোর UGC NEET পরীক্ষা দিতে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কোন অসুবিধা হবে না। এর পাশাপাশি তারা জানান সরকারের পক্ষ থেকে আরজিকর কান্ডকে ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই কারণে বিকাশ ভবন ও মেদিনীপুর টিআই অফিস থেকে একটি ফতেয়া বা সার্কুলার জারি করা হয়। ওই সার্কুলার বা ফতেয়াকে ভয় না পেয়ে প্রতিবাদের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সার্কুলার বা ফতেয়া জারি হওয়াকে ঘিরে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সময় ব্রিটিশ সরকার দ্বারা ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্য লর্ড কার্লাই সার্কুলার জারি হওয়ার ঘটনাকে তুলনা করেছেন। এবং এও বলেন এই সার্কুলার জারি হওয়া সত্বেও বঙ্গভঙ্গ বিবৃতিতে ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী সমাবেশ ঘটেছিল এবং সেই সমাবেশে নেতৃত্ব ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই ঘটনাকে শুনিয়ে তারা জানায় বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের কোন সার্কুলার বা ফতেয়াই দমিয়ে রাখতে পারবেনা। জানান কোন সার্কুলার কে ভয় না পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা যেন রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যায়।
এর পাশাপাশি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অপরাধী সন্দীপ ঘোষ কে পরপর নতুন নতুন চাকরির দেওয়ার ঘটনাকে নিয়েও মন্তব্য করেন তারা।