Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

বিজেপির এই জয় প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য একটি বড় সাফল্য

প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০টি আসনে জয়লাভ করেছে, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে ৪টি বেশি। অপরদিকে, আম আদমি পার্টি (আপ) ১৭টি আসনে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কংগ্রেস এবারও কোনো আসন জিততে পারেনি।

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp

প্রায় ২৭ বছর পর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪০টি আসনে জয়লাভ করেছে, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে ৪টি বেশি। অপরদিকে, আম আদমি পার্টি (আপ) ১৭টি আসনে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কংগ্রেস এবারও কোনো আসন জিততে পারেনি।

বিজেপির এই জয় দিল্লির রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে আপের প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া উভয়েই তাদের আসন হারিয়েছেন। নয়াদিল্লি আসনে কেজরিওয়াল বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মার কাছে ৪,০০০-এরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। জংপুরা আসনে সিসোদিয়া বিজেপির তরবিন্দর সিং মারওয়াহের কাছে ৬৭৫ ভোটে পরাজিত হন। তবে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আতিশী কালকাজি আসনে ৩,৫৮০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

বিজেপির এই জয় প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য একটি বড় সাফল্য, বিশেষ করে গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর। এই ফলাফল মোদির রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আসন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠকগুলোতে তার প্রভাব বৃদ্ধি করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বিজেপির প্রচারাভিযানে মধ্যবিত্ত ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তা, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পেনশন এবং যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, সাম্প্রতিক কর ছাড়ের ঘোষণাও মধ্যবিত্তের মধ্যে বিজেপির সমর্থন বাড়িয়েছে।

অপরদিকে, আপের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং গ্রেপ্তারি তাদের জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলেছে। কেজরিওয়াল গত বছর ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন, যা তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে এই ঘটনা তার দলের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এই নির্বাচনের ফলাফল দিল্লির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে বিজেপি দীর্ঘদিন পর ক্ষমতায় ফিরে এসেছে এবং আপের প্রভাব হ্রাস পেয়েছে।

More Related Articles

মতরঞ্জি
সম্পাদকীয়
সবং-এর উঠোন থেকে ইউরোপের ড্রয়িংরুমে—মাদুর শিল্পের গ্লোবাল যাত্রা শুরু হয়েছে নিঃশব্দ বিপ্লবের মাধ্যমে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর ঘরোয়া উঠোনে গড়ে ওঠা মাদুর শিল্প আজ পৌঁছে গিয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপানের বাজারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ, শিল্পীদের উদ্ভাবনীতা ও গৌরীবালা দাস-এর মত শিল্পীদের অবদান মিলিয়ে এই ঐতিহ্য আজ বিশ্বে বাংলার পরিচয়।

Read More »
সম্পাদকীয়
পুরী রথযাত্রা ২০২৫: তিনটি অলৌকিক রহস্য যা আজও অমীমাংসিত

“পুরীর রথযাত্রা ২০২৫ শুধু এক ধর্মীয় উৎসব নয়—তাতে লুকিয়ে আছে এমন তিনটি রহস্য যা যুগের পর যুগ ধরে অব্যাখ্যাত। অসম্পূর্ণ মূর্তি, বাতাস-বিরুদ্ধ পতাকা ও যমশিলা ধাপের অমঙ্গল—এই তিনটি অলৌকিক ঘটনা এখনও বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের মাঝে দোল খাচ্ছে।”

Read More »
বিশেষ খবর
ইরান–আমেরিকা উত্তেজনার মাঝেই ‘বাবা ভাঙ্গা’র ভবিষ্যদ্বাণী আবারও চর্চায়

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের আবহে আবারও উঠে এলো বাবা ভাঙ্গার ২০৬৬ সালের ভয়ংকর অস্ত্রের ভবিষ্যদ্বাণী। সত্যিই কি এমন কিছু তৈরি হতে চলেছে যা মানব সভ্যতাকে বিপদের মুখে ফেলবে?

Read More »
naser kanani
আন্তর্জাতিক খবর
ট্রাম্প ঘোষণা দিলেও ইরান স্পষ্ট বলল—‘যুদ্ধবিরতি এখনও হয়নি’!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করলেও ইরান জানাল, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়নি। যদি ইজরায়েল হামলা না করে, ইরানও সংঘাতে যাবে না—এই বার্তা দিল তেহরান।

Read More »
আন্তর্জাতিক খবর
“১২ দিনের যুদ্ধ শেষ”: ইরান–ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের দাবি, ইসরায়েল ও ইরান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাপে ধাপে একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে চলেছে। তবে ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দেয়নি। কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার পথেই এই শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা।

Read More »
mamata
সংবাদ ও রাজনীতি
“স্কুলের বইয়ের তাকে এবার ‘মমতার কথা’”— সরকার নির্দেশে বাধ্যতামূলক মুখ্যমন্ত্রীর ১৯টি বই।

রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল লাইব্রেরিতে এবার বাধ্যতামূলকভাবে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ১৯টি বই। এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক, যদিও সরকারের দাবি—এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস বাড়াতে সহায়ক হবে।

Read More »
error: Content is protected !!