২০০০ সাল নাগাদ কলকাতা সহ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল এই অনলাইন লোটো বা অনলাইন জুয়া খেলার আসর। একেবারে প্রকাশ্যে বহুজাতিক সংস্থার হাত ধরে এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই বসানো হয়েছিল এই লোটো মেশিন। এর আগে যা পরিচিত ছিল সাট্টা বা মটকা নামে। এক সময় কলকাতার পথে ঘাটে দেখা যেত একশ্রেনীর মানুষ পেনসিল আর বোর্ড নিয়ে বসে থাকতে। এদের বলাহত বুকার। এই সাট্টা বা মটকার নেশায় পড়ে বহু মানুষ, বহু সংসার ভেসে গিয়েছিল। একাধিক অভিযোগ পাবার পরে প্রসাশন কলকাতা থেকে এই বেআইনি সাট্টা জুয়ার ঠেক একেবারে তুলে দেয়।
পরবর্তীকালে এই সাট্টা বা মটকা তথ্য প্রযুক্তির হাতধরে উন্নত হয়ে ফিরে আসে ২০০০ সাল নাগাদ লোটো নামে। তৎকালীন রাজ্য সরকার বা প্রসাশন কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোটা রাজ্যের অলিতে গলিতে ছেয়ে যায় এই লোটো খেলার দোকান। যা চলতো একেবারেই প্রকাশ্যে।
কিন্তু এবার এর প্রকোপ ছিল আগের থেকে অনেক বেশী। নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষ সবাই এই লোটোর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। মাত্র কয়েক মিনিটে ৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা বা ১০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকার লোভে বহু মানুষ তার মাসিক রোজগারের এককালীন টাকা দিয়ে জুয়া খেলতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে শুরু করেন বহু মানুষ। এবং তারপর থেকে অভিযোগ ও আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার পরে এই লোটো কে রাজ্যে আইনত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই বিধাননগর কমিশনারেটে খবর আসছিল, বাগুইআটি ও নিউটাউন এলাকায় আবার নতুন করে বেশ কিছু জায়গায় লোটো খেলা শুর হয়েছে। আজ বিধাননগর সিটি পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে জানায় তারা, বিধাননগর গোয়েন্দা দপ্তরের একটি দল লোহপুল নিউটাউন পিএস এবং অটো স্ট্যান্ডের কাছে, বাগুইআটি পিএসের সাথে দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজন অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করেছে সাথে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা ও লোটো খেলার মেশিন।