শ্রেষ্ঠ বাঙালি ২০২৫ সম্মানে মনোনীত অর্পিতা চক্রবর্তী। যার হাত ধরেই দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে বাংলার তাঁত ও ঢাকাই শাড়ি, কোন রকম অনলাইন শপিং প্লাটফর্ম ছাড়াই। খুব একটা সহজ ছিলোনা অর্পিতা চক্রবর্তীর জীবন। যা জানলে আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন।

সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মেয়ে তাই খুব অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বাঙালি ঘরোয়া মেয়েদের বিয়ের পরে স্বামীর ঘর সংসার করার স্বপ্ন থাকে দুচোখে। কিন্তু অর্পিতা চক্রবর্তীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল। তিনি বুঝেছিলেন তাকে নিজেকেই লড়াই করে তৈরী করতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচিতি তৈরী করতে হবে। কিন্তু কে কতটা সেই লড়াইয়ের পাশে থাকবে সেই প্রত্যাশা তিনি কোনদিন করেননি। শুধু ছিলো আত্মবিশ্বাস।

তবে প্রথমেই ব্যবসা নয়, প্রাইভেট চাকরি জগৎ থেকেই পথ চলা শুরু। দৈনন্দিন পথ চলার পথে নামিদামি পোশাকের দোকান আর শপিং মলে তিনি খেয়াল করলেন সামান্য একটা পোশাক বা শাড়িকে একটু আলাদা কাজ করেই তা কিভাবে সাধারণ মানুষের কাছে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট থেকেই ছিলো সেলাই এর দিকে ঝোঁক আর সাথে কিছু বিদেশী ম্যাগাজিন এর পোশাকের ছবিই হয়ে উঠলো তার অনুপ্রেরণা। শুরু হলো অর্পিতা দির নিজের বুটিক ২০০৯ সালে। সাধারণ মানুষের ভালো পোশাক পরার ইচ্ছা টাই ছিলো তার কাছে প্রাথমিক বাজার। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলার তাঁত আর ঢাকাই নিয়েই মূলত তার কাজ। অবাক করা বিষয়ে হলো, এই ২০২৫ সালে, যখন ইন্টারনেট অক্সিজেনের থেকেও সস্তা, বহু গৃহবধূ সামাজিক মাধ্যমে, বিভিন্ন অনলাইন ই – কমার্স প্লাটফর্ম এর সাহায্য নিয়ে ব্যবসা করছেন সেখানে অর্পিতা দি আজও একেবারেই এই সব তথ্য প্রযুক্তি কে অবলম্বন না করেই তার বুটিক কে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আজ অর্পিতা দির ডিজাইন করা পোশাক বাংলার সীমা ছাড়িয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশের মাটিতেও।
অর্পিতা দির বুটিকের জন্যই আজ সেখানে বেশ কিছু মানুষ তাঁদের জীবিকা বহন করছেন। একই সাথে অর্পিতা দি সমাজের বহু পিছিয়ে পড়া মহিলা ও পুরুষ কেও সাহায্য করছেন কি ভাবে তারা ব্যবসায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন।
রইলো অর্পিতা চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার।