রাজ্য রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে শাষক দলের দিকে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে পরিমান অভিযোগ উঠছে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে কোন শাষক দলের বিরুদ্ধে এত দূর্নীতির অভিযোগ আগে হয়তো শোনা যায়নি।।
বিগত বেশ কয়েক বছরে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারেল বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সারদা বা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সহ গরু পাচার, কয়লা পাচার, অবৈধ বালি খাদান, প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়োগ দূর্নীতি, রেশন দূর্নীতি নিয়ে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরিয়েট ও সিবিআইয়ের এর যৌথ তদন্তের অভিযানে একে একে পার্থ চ্যাটার্জী, মানিক বন্দোপাধ্যায়, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে গ্রেফতার হয়েছেন। এর পরেও ইডির স্ক্যানারে রয়েছে শাষকদলের বেশ কিছু প্রভাবশালী নেতাও। প্রতিদিন নানা কারনে হাইকোর্টে জুটছে ভৎসনা আর তার সাথেই চলছে তৃনমূল বনাম তৃনমূলের খুনোখুনিও, অন্তত এমনটাই অভিযোগ করছেন বিরোধী দলের নেতারা । সব মিলিয়ে বর্তমানে শাষকদলের অবস্থা বেশ চাপের। বিরোধী দলের নিত্যনৈমিত্তিক অভিযোগের বিরুদ্ধে শাষক দলের মূখপাত্ররাও নিশ্চুপ থাকেননা কিন্তু নিত্য নতুন অভিযোগও বন্ধ হয়না।
এবার এলো আর এক নতুন অভিযোগ।। কিছুদিন আগেই পোলবার মহানাদে একটি বিয়ার কোম্পানিতে আয়কর হানা হয়েছিল। এবার স্থানীয় সুত্রে খবর, ওই বিয়ার ফ্যাক্টরিতেই নাকি ঢুকতো বিশাল পরিমানে রেশনের অবৈধ চাল। কিন্তু বিয়ার ফ্যাক্টরিতে এত পরিমান চাল কেন বা কি কারনে লাগবে? রেশনের চাল কি করে চলে আসছে বিয়ার ফ্যাক্টরিতে? এবার এই নিয়েই আজ বিকেল ৪:৩০ নাগাদ পোলবার স্থানীয় মহানাদ বিজেপি অফিসের সামনে, বিজেপি মন্ডল সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃনমুল নেতৃত্বেই এই বেআইনি কারবার চলছিল রমরমিয়ে।
রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কি যোগসাযোগ রয়েছে এই বেআইনি চাল পাচার কান্ডে?