শোভন মল্লিক, কলকাতা: গরমের দাপট এবং বৃষ্টির আকালের কারণে সারা বঙ্গবাসী তথা ভারতবর্ষ যেখানে নাজেহাল । মানুষ এই অসম্ভব গরমের কারণে অসুস্থ পর্যন্ত হয়ে পড়ছেন । এই বছরে তুলনামূলক বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই এই তপ্ত গরম সহ্য করতে হচ্ছে সকলকে। বৃষ্টির হাহাকারে গ্রামে গ্রামে শুরু হচ্ছে খরা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহু ফসল, বন্ধ চাষবাস, চাষীদের মাথায় হাত। বৃষ্টির অপেক্ষায় মানুষ দিনৎগুনছে সর্বদা। কিন্তু দেখা নেই কোনো বৃষ্টি বা ঝড়ের। সেই কারণেই শেষমেষ মানুষকে দ্বারস্থ হতে হয়েছে ভগবানের দরবারে। অপেক্ষা যেখানে কোনো ফল দিচ্ছে না। হয়তো মানুষের বিশ্বাসই সেখানে সকল কিছু জয় করবে বলেই বিশ্বাস মানুষের।
এই প্রচন্ড গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ আকড়ে ধরেছে পুরনো মিথকে। ত্রিপুরায় অবস্থিত ৫৫০ বছরের পুরনো কমলা সাগর কসবেশ্বরী মায়ের মন্দির কেই এখন আঁকড়ে ধরেছে ভক্তরা । এই মন্দির নিয়ে রয়েছে নানান গল্প । দেবী এখানে জাগ্রত বলেই সকল ভক্তরা মনে করেন। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বহু মিথ আজও প্রতিটা মানুষের কাছে প্রচলিত। গ্রামের মানুষেরা বিশ্বাস করেন, মা কসবেশ্বরী মন্দিরে সকল ভক্তরা যদি কমলা সাগর দীঘির জল ঢালে। তবে মা সমস্ত মানুষকে খরা থেকে রক্ষা করবে। মায়ের আশীর্বাদে বৃষ্টি হবে এই ধরাধামে।
এই বিশ্বাসের উপর ভর করেই বহু কাল ধরে এমন নিয়ম হয়ে আসছে। যখনই এমন খরা বা বৃষ্টির আকাল দেখতে পাওয়া যায়। তখনই সকল ভক্তরা শরণাপন্ন হন দেবী কসবেশ্বরীর। সেই প্রথা অনুযায়ী, ভক্তরা মায়ের কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করে বৃহস্পতিবার কমলাসাগর দীঘির জল ঢাকলো সারা মন্দির চত্বরে । বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। কিছু কিছু বিশ্বাস এবং ভগবানের প্রতি ভরসা মানুষকে বহুদূর টেনে নিয়ে যেতে পারে । আবার সেই বিশ্বাস অনেক সময় ফল হয়ে আসে মানুষের কাছে ।