গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সিতারমন গুগল প্লে-ষ্টোর এ উপলব্ধ বেআইনি লোন অ্যাপ গুলির ওপর ED কে পদক্ষেপ নিতে বলে। আর তার সাথে সাথেই আজ দেশের অনান্য শহরের সাথে কলকাতার গার্ডেন রিচ অঞ্চলে এক ব্যাবসায়ির বাড়িতে হানা দেয় ED বা এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। খবর করা কালীন অবস্থায় এখনো অবধি উদ্ধার হয়েছে 7 কোটির বেশি টাকা। গননা চালু রয়েছে। টাকা গুনতে আনা হয়েছে ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন সহ বেশ কিছু ব্যাঙ্ক কর্মী।
আধিকারিকরা আশা করছেন অন্তত 60-70 কোটি টাকা এখানে নগদ রয়েছে।
অভিযোগ এই ব্যবসায়ী অনলাইন গেম এবং অনলাইন বেআইনি লোন অ্যাপের মাধ্যমে বহু মানুষকে প্রতারণা করেছেন।
ঠিক কি হয় এই অনলাইন লোন অ্যাপে :
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হঠাত করেই অনেকেরই কিছু অর্থের সমস্যা হয়ে থাকে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লোন বা ঋণ নিতে গেলে লাগে হাজারও কাগজপত্র সহ লেগে যায় বেশ কিছু সময়। তাই খুব সহজে কম সময় ও কম কাগজ পত্রে এই বেআইনি অ্যাপগুলি লোন দিয়ে থাকে চড়া সুদে এবং কোন কিছু গচ্ছিত ছাড়াই কিন্তু পরিবর্তে ঋণ গ্রহিতা বুঝতেই পারেন না তার স্মার্ট ফোনের ভার্চুয়াল নিয়ন্ত্রণ দখল করছে ওই লোন অ্যাপ সংস্থা। সাথে সাথে নিয়ে নেয় ঋনগ্রহীতার ফোনে সেভ করা অনান্য নম্বর গুলি।
ঋনগ্রহীতা ঋনখেলাপী করলেই শুরু হয়েযায় ওই বেআইনি লোন অ্যাপের অমানবিক ও অসহিষ্ণু অত্যাচার। ঋণগ্রহীতা কে যখন তখন ফোন করে গালিগালাজ থেকে শুরু করে তার পরিবার কেও গালিগালাজ করতে ছাড়েন না । এছাড়া ঋণগ্রহীতার ফোন থেকে তার ছবি নিয়ে সুপার এম্পজ করে নগ্ন ছবির সাথে মিলিয়ে ভাইরাল করা হয়। সাথে সাথে ঋণ গ্রহীতার ফোনে সেভ করা অনান্য নম্বরে সে ছবি পাঠিয়ে সকল কে বিব্রত করা এবং তাদের কেও গালিগালাজ করা এদের স্বাভাবিক ধর্ম হয়ে উঠেছিল জার জেরে ভু মানুষ আত্মঘাতিও হয়েছেন ।
অনলাইন গেমিং অ্যাপের ফাঁদ : অনলাইনে বা ইন্টারনেটে বহু বেনামী সংস্থা নানান রকম গেম খেলার আয়োজন করে রেখেছে যেখানে নানান বিজ্ঞাপনে বলা হয় জিতলেই মোটা অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। গেমে রেজিষ্টার করলেই প্রথমে আপনাকে বেশ কিছুটাকা অগ্রিম দেওয়া হয় গেমটি তে জুয়া খেলার জন্য তার পর আসক্ত হয়েগেলে আসক্ত ব্যাক্তি তার নিজের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে এই জুয়া খেলা শুরু করেন। মোটা অঙ্কের টাকা জেতার পর আপনাকে সংস্থার তরফ থেকে ফোন করে আপনার ব্যাঙ্ক এর তথ্য সাথে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। লোভের বশবর্তী হয়ে সেই তথ্য সংস্থাকে অনেকেই জানিয়ে দেয় আর সেই সংস্থা মোটা অঙ্কের টাকা দেবার বদলে ঠিক উল্টো ভাবে ব্যাঙ্কে বা ক্রেডিট কার্ডে থাকা টাকা তুলে নেয়। এই ভাবে এরা বহু মানুষ কে প্রতারিত করেছে।
গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও ঠিক এই প্রতারনার অভিযোগই রয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কতটাকা ওই ব্যবসায়ীর বাড়ী থেকে উদ্ধার হয় সেটাই এবার দেখার।