সামনেই কোনও অনুষ্ঠান বা বিয়েবাড়ি রয়েছে, অথচ তার একদিন আগে মুখে গজিয়ে উঠল একটা বিশ্রী ব্রণ! লালচেভাব আর ফোলা তো আছেই, সেই সঙ্গে ব্যথাও! এরকম পরিস্থিতিতে ব্রণ শুকোতে সময় লেগে যায় বেশ কয়েকদিন। ফলে সাজগোজের সমস্ত পরিকল্পনাই মাটি হয়ে যাওয়ার জোগাড়! এরকম পরিস্থিতিতে অনেকেই চান এমন কোনও উপায় যা ব্রণ শুকিয়ে দেবে ঝটপট! আমরা জানাচ্ছি এমন কিছু সহজ টোটকা হদিশ যা প্রয়োগ করলে ব্রণ সারিয়ে ফেলতে পারবেন রাতারাতি!
অ্যাসপিরিন গুঁড়ো
ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিন যতটা ভালো, ঠিক ততটাই ভালো ব্রণ কমানোর ক্ষেত্রে। অ্যাসপিরিনে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড থাকে যা ব্রণর ব্যথা আর লালচেভাব দ্রুত কমাতে পারে। একটা অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে তাতে একটু জল মিশিয়ে পেস্ট বানান। সেই পেস্ট ব্রণর উপরে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলেই সকালে উধাও হবে ব্রণ।
টি ট্রি অয়েল
যে কোনও ত্বকের সমস্যা রুখতেই টি ট্রি অয়েল কার্যকরী, তা সে পোকামাকড়ের কামড়ই হোক বা ব্রণ! টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ কোমলভাবে ব্রণ কমায়, সংক্রমণও হতে দেয় না। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলো দিয়ে ব্রণর উপরে লাগান, ব্যথা কমে যাবে।
স্পট ট্রিটমেন্ট
দোকানে নানারকম স্পট ট্রিটমেন্ট পাওয়া যায় যা ব্রণর উপরে লাগালে খুব দ্রুত ফল পাবেন। এ সব স্পট ট্রিটমেন্টে বেনজ়ল পারক্সাইড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা সালফারের মতো অ্যাকটিভ উপাদান থাকে যা ব্রণর ব্যাকটেরিয়া মেরে বন্ধ রোমছিদ্র খুলে দেয়, জমে থাকা মৃত কোষও সরিয়ে দিতে পারে। ফলে একদিনের মধ্যেই আপনার ত্বক ফের ব্রণহীন মসৃণ অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
কোল্ড কমপ্রেস
ব্রণ লাল হয়ে ফুলে থাকলে, ব্যথা হলে কোল্ড কমপ্রেস লাগিয়ে দেখুন, আরাম পাবেন। কাপড়ের ন্যাপকিন বা পেপার টাওয়েলে একটুকরো বরফ মুড়ে ব্রণর উপরে আলতো করে লাগান। এক ঘণ্টায় তিন-চারবার দশ মিনিটের জন্য এভাবে কোল্ড কমপ্রেস দিলে ফোলা আর লালচেভাব দুটোই কমে যাবে।
লেবুর রস ও দারুচিনি
এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চা-চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি সারা রাত ব্রণে লাগিয়ে রাখুন। সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আশা করা যায় ব্রণ কমে আসবে।
এছাড়াও এক চামচ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর সঙ্গে চার-পাঁচটি করে তুলসী ও নিমপাতা পেস্ট করে নিয়মিত খেলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।