পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ সিনেমা দেখতে তো সবাই ভালবাসে। কিন্তু কিভাবে শুরু হল ভারতীয় সিনেমা কে শুরু করল? ভারতীয় সিনেমার জনক ধুন্ধীরাজ গোবিন্দ ফালকে, যদিও তিনি দাদা সাহেব ফালকে নামেই পরিচিত। আজ তার ১৫৩ তম জন্মদিন। তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ সকল সিনেমা প্রেমী ভারতবাসী। তার জন্মদিনে তার প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা এবং প্রণাম।
তিনি ছিলেন একাধারে পরিচালক প্রযোজক চিত্রনাট্য লেখক সব। ১৯১৩ সালে তার প্রথম ছবি ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ মুক্তি পায়। যা ভারতের প্রথম দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র (Full length feature film)। তিনি ১৯১৩-১৯৩৭ সালের মধ্যে মোট ৯৫ টি দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র এবং ২৭ টি স্বপ্ল দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ‘মোহিনী ভস্মাসুর’(১৯১৩), ‘সত্যবান সাবিত্রি’(১৯১৪), ‘লঙ্কা দহন’(১৯১৭), ‘শ্রী কৃষ্ণ জন্ম’(১৯১৮), ‘কালিয়া ম্রদন”(১৯১৯), ‘বুদ্ধদেব’(১৯২৩), ‘সেতু বন্ধন’(১৯৩২), ‘গঙ্গাবতারণ’(১৯৩৭) তার জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবথেকে সম্মান জনক পুরষ্কার ‘দাদা সাহেব ফালকে অ্যায়ার্ড’, যা তারই নামাঙ্কিত। ১৯৬৯ সালে ভারত সরকার তাকে বিশেষ সম্মান প্রদানের জন্য তার নামাঙ্কিত এই পুরষ্কার চালু করেন। ১৯৭১ সালে ভারতীয় ডাকবিভাগ তাকে সম্মান জানানোর জন্য তার নামে একটি ডাকটিকিট চালু করে। ‘দাদাসাহেব ফালকে অ্যাকাডেমি মুম্বাই’ ভারতীয় সিনেমার আজীবন সম্মাননা-র (lifetime achievement) মত একটা ভীষণ সম্মানীয় অ্যায়ার্ড ২০০১ সালে চালু করে তার নামানুসারেই।
দাদাসাহেব ফালকে র হরিশ্চন্দ্র বানানোর সময়কার স্মৃতি নিয়ে ২০০৯ সালে পরেশ মকাসি ‘হরিশ্চন্দ্র ফ্যাক্টরি’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এই তথ্যচিত্রটি ‘অ্যাকাডেমি অ্যায়ার্ড’এ ‘বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল। ২০১৮ সালে তার জন্মদিনে গুগল থেকেও তিনি সম্মানিত হন।