বর্তমান 5G আধুনিক যুগে আর অসম্ভব বলে কিছু রইলো না। যুগ যুগ নারীদের বয়ে বেড়ানো আক্ষেপ “মা হবার কষ্ট পুরুষ বোঝে না”, তা আর রইলো না। আধুনিক, থুড়ি – অত্যাধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের বদন্যতায় বহু বছর আগে থেকেই লিঙ্গ পরিবর্তন শুরু হয়েছিল এবার আরো একধাপ এগিয়ে গেল সেই আধুনিকতা। ভারতের প্রথম “গর্ভবতী” পুরুষ হলেন জাহাদ পাভাল। যদিও তিনি একজন রুপান্তরকামী। পুরুষ থেকে নারী হয়েছেন।
জাহাদ শারীরিক ভাবে পুরুষ হলেও মনে প্রানে তিনি নিজেকে নারী বলেই অনুভব করতেন। আবার এর উল্টোটাও হয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে। অর্থাৎ কেউ শারীরিক ভাবে নারী হয়েও মনে প্রানে নিজেকে পুরুষ অনুভব করেন। মনের এই অনুভব সব সময়েই সমাজ সংস্কারের অনেক উর্দ্ধে। মনের সেই নারী অনুভব কেই গুরুত্ব দিয়ে, দীর্ঘ ও জটিল অত্যাধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের মাধ্যমে নিজেকে সম্পূর্ণ নারীর রুপ দিয়েছেন কেরলের এই ২৩ বছরের যুবক।
কেরলের রুপান্তরকামী এই যুগল, জাহাদ পাভাল ও জিয়া পাভাল তারা তাদের ইন্স্টাগ্রাম প্রোফালে প্রথম ঘোষনা করেন তাদের এই সংবাদ। ২১ বছর বয়সী রুপান্তরিত মহিলা জিয়া নিজেই ঘোষনা করেন তার স্বামীর অন্তঃসত্বা হবার ঘটনা। ভারতে এই ঘটনা প্রথম।
তিন বছরের তাদের দাম্পত্য জীবনে, তাদের অভিভাবক হবার ইচ্ছা জাগে এবং তারা কিছুদিনের জন্য তাদের অত্যাধুনিক হরমোন চিকিৎসা স্থগিত রাখেন অন্তসত্বা হবার কারনে। জিয়া জানান, এমনিতেই রুপান্তরকামী মানুষদের সমাজে খুব নিচু চোখে দেখা হয়। কোন ভাবেই কেউ পাশে থাকেন না। তাই এই পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব বাচিয়ে রাখতে আমরা প্রথমে সন্তান দত্তক নেবার কথা ভাবলেও আইনি জটিলতায় তা হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, সকলের চোখ রাঙানি কে উপেক্ষা করে আমরা নিজেরাই সন্তান ধারন করবো। আজ আমরা খুব খুশি। জাহাদ এখন আট মাসের অন্তসত্বা। আগামী মার্চেই তাদের জীবনে আসতে চলেছে তাদের এক নতুন অতিথি।