বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সাংবাদিক মহলে চলছিল নানান গুঞ্জন। আজ কিছুক্ষন আগেই সব গুঞ্জনের অবসান হলো। জামিনে মুক্ত হলেন হুগলীর দুই সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদক।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৯শে নভেম্বর। হুগলীর দুই সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদক সাংবাদিকতার স্বার্থে, জনৈক ব্যক্তির তথ্য সূত্র আন্দাজ করেন হুগলী অঞ্চলে গোপনে নারী পাচার বা দেহ ব্যবসা চলছে। সাংবাদিকতার স্বার্থে তদন্তে নেমে জানতে পারেন অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ চৌধুরী। যাকে নিয়ে এনারা আগেও সংবাদ করছেন। আগেও এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে জালি সাংবাদিকতা করে বিভিন্ন মহল থেকে টাকা তোলা আর মহিলাদের সাথে অশ্লীল ও নিম্নরুচির ব্যবহারের।
এর পরেই সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদক, অভিযুক্ত বিশ্বনাথ চৌধুরীর বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে, বাড়ির বাইরে থেকেই জানতে পারেন বিশ্বনাথ চৌধুরী বাড়িতে নেই। এর পর শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদক, বিশ্বনাথ বাবুর বাড়ির থেকে কিছুটা দুরে অপেক্ষা করতে থাকেন। তারপরেই হঠাৎ করে বিশ্বনাথ চৌধুরীর কন্যা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে চিৎকার করে সাংবাদিক দের প্রতিবাদ করেন। এবং পরবর্তীকালে থানায় এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভুয়ো শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।
এর পরেই হুগলী ও কলকাতার সাংবাদিক মহলে আলোড়ন সৃস্টি হয়। দ্বিধা-বিভক্ত হতে দেখা যায় অনেক সাংবাদিক কেই। আসলে সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদকের নামে পূর্বে কোন অভিযোগ তো ছিলই না বরং প্রয়োজনে রাত বিরেতে, আপদে বিপদে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর তথ্য রয়েছে।
সাংবাদিকদের একাংশ এদের কে ভুয়ো সাংবাদিক বলেছেন, বলেছেন ইউটিউবার। আসলে বর্তমানে নিউজ পোর্টাল গুলি প্রথম সারির বা প্রিন্ট মিডিয়া গুলির সব থেকে বড় প্রতিযোগি হয়ে উঠেছে। তাই পোর্টাল সাংবাদিক দের সাংবাদিকের মর্যাদা দিতে চাননা অনেকেই।
আজ সমস্ত গুঞ্জনের শেষে হলো। আজ শ্রীরামপুর আদালতে বিচারক এস. ভট্টাচার্য অভিযোগের ভিত্তিতে যাবতীয় তথ্য প্রমান দেখেন এবং সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদকের আইনজীবী আর এন ঠাকুরের সোয়াল জবাবের পরেই বিচারক এস ভট্টাচার্য দুই সাংবাদিক কে জামিনে মুক্তি দেন। এর পরেই সাংবাদিক শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদকের আইনজীবী সংবাদ মাধ্যম কে তার বক্তব্য পেশ করেন। রইলো সেই বক্তব্যের ভিডিও।