আগামীকাল, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহাশিবরাত্রি উদযাপন করবেন। এই পবিত্র রাত্রি হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান উৎসব, যা ভগবান শিবের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য পালিত হয়।
মহাশিবরাত্রির উৎপত্তি ও ইতিহাস

শিব পুরাণ অনুসারে, মহাশিবরাত্রির রাতে ভগবান শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন। এছাড়াও, এই রাত্রেই শিব ও মাতা পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। অতএব, মহাশিবরাত্রি শিব ও শক্তির মিলনের প্রতীক। অন্ধকার ও অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়। ভক্তরা শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা ও ফুল দিয়ে পূজা করে থাকেন।
উদযাপনের রীতি ও প্রথা

মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ভক্তরা সারারাত জেগে শিবের আরাধনা করেন। শিব মন্দিরে বিশেষ পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ভক্তরা উপবাস পালন করেন এবং শিবের পবিত্র পঞ্চাক্ষরী মন্ত্র “ওঁ নমঃ শিবায়” জপ করেন। শিব চালিসা পাঠের মাধ্যমে শিবের স্তব করা হয়।

মহাশিবরাত্রি শুধুমাত্র ভারতেই নয়, নেপালসহ অন্যান্য দেশেও ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়। নেপালে এই দিনটি জাতীয় ছুটির দিন এবং পশুপতিনাথ মন্দিরে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।
এই পবিত্র উৎসব ভগবান শিবের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি মহান উপলক্ষ, যা ভক্তদের জীবনে আধ্যাত্মিক উন্নতি ও কল্যাণ বয়ে আনে।