দেশ ও দশের উন্নতি সাধনে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা অগ্রণীয় এবং একই কারণে ভারতের সংবিধান দণ্ডে বা অশোক চক্রে থাকা চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি হলো গণমাধ্যম বা সাংবাদিকতা। এই সাংবাদিকতা জগতেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যম গুলির একাধিপত্য কে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে “নিউজ পোর্টাল”। শুধু মাত্র ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন জাগানো খবর সাধারণ মানুষ কে সবার আগে জানায় এই “নিউজ পোর্টাল” গুলিই।
নিউজ পোর্টাল গুলির স্বাধীন সাংবাদিকতা ইন্টারনেট জগতের মাধ্যমে এতটাই দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয় যে অন্যান্য মাধ্যম গুলি পিছিয়ে পড়েন। আর সেখানেই তৈরী হয় বিবাদ ও বৈষম্য। অনেক জায়গায় পোর্টাল সাংবাদিক দের ওপর নেমে আসে আক্রমণ। অনেক সময় পোর্টাল সাংবাদিকদের সাংবাদিকতাতেও বাধা দেওয়া হয়।
এই সব কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই ও অন্যান্য দাবী দাওয়া নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ওয়েস্টবেঙ্গল নিউজ পোর্টাল রিপোর্টারস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। আপদে বিপদে এমনকি মাঝ রাতে হাসপাতালে পরম আত্মীয় হয়ে পাশে থাকে এই সংগঠন।
গত ১৩ই ডিসেম্বর, হুগলীর উত্তর পাড়ায় হয়েগেলো এই সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর মহাসমারোহে উদযাপিত হলো এই দিন টি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উত্তরপাড়া ইউনিয়ন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী শিশির কুমার পাল। তাঁর হাত দিয়েই প্রকাশিত হয় এই সংগঠনের একটি ম্যাগাজিন যেখানে এই সংবাদ সংগঠন গত দু বছরে কি কি কাজ করেছে ও সাংবাদিকদের পাশে কি ভাবে আপদে বিপদে পাশে থেকেছে তার সম্পূর্ণ বিবরণ রয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে বেস্ট ফেস অফ বেঙ্গল সম্মানে সম্মানিত করা হয় কলকাতা টিভির সাংবাদিক শ্রী জগন্নাথ সামন্ত, সামাজিক মাধ্যমে খ্যাত শ্রী অরুন নস্কর ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে শিশির কুমার পাল কে। প্রতিবন্ধকতা কে হারিয়ে বিশেষ শিল্পকর্ম কে নিয়ে রিয়েলিটি শো ও সংবাদ মাধ্যমে খ্যাত বিশেষ প্রতিভা রিমা ব্যানার্জী কেও সম্মানিত করা হয় ফেস অফ বেঙ্গল সম্মানে। এছাড়াও ফেস অফ হুগলী সম্মানে সম্মানিত করা হয় বিশিষ্ট শিক্ষক অনুপ কুমার দাস, পশুপ্রেমী জয়শ্রী দাসগুপ্ত ও বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের সক্ষম করার আর এক তারকা তরুণ দাসগুপ্ত মহাশয় কে।
এদিন সংগঠনের সদস্য দের নিয়েই আরো একটি বিতর্ক সভার অনুষ্ঠানে আয়োজিত হয় যার নাম ছিলো ” পোর্টাল না খাটাল? “। এই বিতর্ক অনুষ্ঠানে যুগ্ম ভাবে জয়ী হন শ্রী অভিষেক পাল ও অধীরথ দে, দ্বিতীয় স্থানে বিজয়ী হন সোমনাথ বটব্যাল ও তৃতীয় স্থানে বিজয়ী হন শ্রীমতী সৌমিলি গাঙ্গুলি চক্রবর্তী। একই সাথে দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাতা পেন ও বিশেষ ভাবে সক্ষম ছেলে মেয়েদের হাতে বেশ কিছু উপহার। সাংবাদিক দের ও সারমেয় প্রেমী দের মধ্যে বিতরণ করা হয় শীতবস্ত্র। সংগঠনের সদস্য শুভজ্যোতি চক্রবর্তী ও সৌরভ আদক জানান এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য নিউজ পোর্টাল সাংবাদিকদের পাশে থাকা এবং তাদের সরকারী স্বীকৃতি। সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ বটব্যাল জানান “একা কাজ করা খুবই কঠিন, তাই পোর্টাল সাংবাদিক দের একে ওপরের পাশে থাকতে হবে, রাজ্যের সব জেলায় জেলা কমিটি গঠনের মাধ্যমে।
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৭০ জন সাংবাদিক।