মানতেই হবে, মুসুর ডালের মতো মাল্টি-পারপাস খাবার কিন্তু খুব কম আছে! একদিকে মুসুর ডাল প্রোটিনে ভরপুর, অন্যদিকে খেতেও সুস্বাদু এবং গরমের দিনে আদর্শ আহার! আর এরই পাশাপাশি রূপটান হিসেবেও মুসুর ডাল বাটা দারুণ কাজের! মুখের ট্যান দূর করা থেকে মুখের বাড়তি রোম কমানো বা ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে ব্যবহার করতে পারেন মুসুর ডাল। রইল খুব কাজের কয়েকটি মুসুর ডালের ফেস প্যাকের হদিশ!
প্রতিটি ফেস প্যাক বানানোর জন্য খানিকটা মুসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে মিক্সিতে বা শিলনোড়ায় বেটে নিন।
ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে মুসুর ডাল
সপ্তাহে একদিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করলে মুখের উপরিভাগে জমে যাওয়া মৃত কোষ উঠে গিয়ে উজ্জ্বল কোমল ত্বক বেরিয়ে আসে। মিহি করে বাটা মুসুর ডালের সঙ্গে দু’ চাচামচ দুধ মিশিয়ে থকথকে করে মুখে সমানভাবে লাগিয়ে নিন, তারপর ঘষে ঘষে মাসাজ করুন। মিনিট দুই ঘষার পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দুধ আপনার ত্বক কোমল আর নরম রাখবে।
ট্যান কমাতে
রোদে মুখচোখ পুড়ে কালো হয়ে গেলে কাজে লাগান মুসুর ডাল। তিন টেবিলচামচ মুসুর ডাল বাটা, তিন টেবিলচামচ টক দই আর একই পরিমাণ বেসন একসঙ্গে বেশ করে মিশিয়ে নিন, এই মিশ্রণে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে আবার ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না শুকোয়। তারপর জল দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্কতা দূর করে ত্বক কোমল করতে
ত্বক খুব শুকনো লাগছে? দু’ টেবিলচামচ মুসুর ডালের সঙ্গে দু’ টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। মধু ত্বকে আর্দ্রতা জোগাবে আর মুসুর ডাল ত্বক হয় কোমল আর উজ্জ্বল।
অবাঞ্ছিত রোম তুলতে
ঠোঁটের উপরে বা গালে রোমের আধিক্য রয়েছে? মুসুর ডালের নিয়মিত ব্যবহারে তা কমিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। এক চাচামচ মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক চা চামচ বেসন, এক চাচামচ চালের গুঁড়ো আর কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে পেস্টমতো করে মুখে মাখুন। শুকিয়ে এলে রগড়ে রগড়ে তুলে ফেলুন। কিছুদিন করলেই রোমের গ্রোথ কমতে শুরু করবে।
মুখের দাগছোপ কমাতে
মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে খানিকটা অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন, আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে ধীরে ধীরে দাগ ফিকে হয়ে আসবে।