স্বর্ণালী পাত্র, কলকাতা: একদিনের হেরফেরে পর পর শোকের ছায়া নেমে আসে টেলিদুনিয়ায়। শনিবার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত-র। মাত্র ৩০ বছর বয়সে আকস্মিক মৃত্যু বরণ করেন “গৌরী এলো” ধারাবাহিকে কর্মরত সূচন্দ্রা। শুটিং সেরে বাইকে করে বাপের বাড়ি পানিহাটিতে ফিরছিলেন অভিনেত্রী, তখনই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। বেশিদিন হয়নি তার এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড – এ,সবে সবে স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটছিলেন তিনি। “গৌরী এলো” ছাড়াও কাজ করেছেন “জয় জগন্নাথ” নামে একটি সিরিয়ালে। সম্প্রতি “পুলিশ ফাইলস”কাজ করেছেন তিনি সোমবার থেকেই তা টেলিকাস্ট হওয়ার কথা ছিল। তবে তা আর নিজের চোখে দেখা হলো না তার। চলে যাওয়ার পর আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। তবে একদিন , দুদিন না পর পর বেশ কিছুদিন চলতে থাকে তার মৃত্যু ঘিরে সংবাদ। সেই সুবাদে যারা তাকে চিনতেন না তারাও পরিচিত হন সদ্য উঠে আসা মুখ সুচন্দ্রার সাথে।
এই ঘটনার পরই আরো এক অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় নেটপাড়ায়। সোমবার বলিউড অভিনেতা আদিত্য সিংহ রাজপুত – এর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তারই নিজের ফ্ল্যাটের শৌচাগারে। শতাধিক বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি তাকে দেখা গেছে ” স্পিটসভিলা ৯” এর মতন রিয়ালিটি শো তে। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন “কোড রেড”, “আওয়াজ সিজন ৯”, “ব্যাড বয় সিজন ৪” এর মত টিভি প্রজেক্টের সাথে।
তারই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়, নানা রকম জল্পনা। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত মাদক সেবনই মৃত্যুর কারণ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অতিরিক্ত মাদক সেবনে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। দেহ পাঠানো হয় ময়না তদন্তে। মৃত্যুর আগের রাতে সমাজ মাধ্যমে তার করা পোস্ট নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা। রবিবার রাতে তাকে দেখা যায় বন্ধুদের সঙ্গে রাতের পার্টিতে। এছাড়াও রাতে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হন তিনি। সেইসব ছবি এবং ভিডিও নিজের স্টোরিতে পোস্ট করেন অভিনেতা। তারপর দিনই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। শুরু হয় তদন্ত। তারই সাথে শুরু হয় তার মৃত্যু ঘিরে সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম পোস্ট ও মন্তব্য।
দুই ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া যায় মৃত্যুর পর বাড়তে থাকে সেই নিয়ে চর্চা। পর পর কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় চলে লেখালেখি। অনেকে শোক প্রকাশ করেন , অনেকেই লেখেন “কে এনারা? আজই জানলাম অভিনয় করতেন বলে”। মৃত্যু ঘিরে লেখালেখি করতে অনেক সময় দেখা যায় সংবাদ মাধ্যম পৌঁছে গেছে হতের বাড়ির লোকের কাছে। জানতে চাওয়া হচ্ছে তাদের মানসিক অবস্থার কথা। পরে সেই খবরও চলে যাচ্ছে সমাজ মাধ্যমে।
তবে কি মৃত্যুর পরই বেড়ে যায় “নাম – ডাক”? ভেবে দেখুন নিজেরাই।