বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশে তথা রাজ্যে নতুন করে “জয় শ্রীরামের” প্রচার শুরু হয়েছে। কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা দল আসার পর থেকেই এই দায়িত্ব তারা কাঁধে তুলে নিয়েছেন। দেশ জুড়ে উঠেছে গেরুয়া ঝড়। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের শাষক গোষ্ঠীদের একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল ইডি ও সিবিআই কে দিয়ে একের পর এক তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও যুবনেতাদের গ্রেফতার করে শাষকদলের প্রতি জনগনের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করছেন তা কিছুদিন আগে সমাজবাদী পার্টির সর্বোচ্চ নেতা অখিলেশ যাদবও স্বীকার করে গেছেন। দেশজুড়ে তৈরী হচ্ছে নানান ধর্মীয় স্থানের রাজকীয় সংস্কার আর বিশালাকার মুর্তি স্থাপনের কাজ। আর তারই সাথে উর্ধমুখী হচ্ছে পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম। এতেই যখন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলির নাভিস্বাস ওঠার জোগাড় ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, দেশের প্রতিটি নাগরিক কে এই হাজার টাকা খরচ করে প্যান কার্ড ও আধার কার্ড লিঙ্ক করাতে হবে। বর্তমান দেশের জনসংখ্যার প্রত্যেকে এই হাজার টাকা খরচ করলে কত টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে যাবে তা হিসেব করতে গেলেও হাঁফিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেদিকেই এখন পাখির চোখ। আর এদিকে রাত পোহালেই রাম নবমী। জেলায় জেলায় তার প্রস্তুতি শুরু হয়েগেছে।
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদাতে রামনবমী উৎসব উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ ডক্টর সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন অনেকেই আছেন রাম নাম শুনলে ক্ষেপে যান।দস্যু রত্নাকর ও মরা বলতে বলতে রাম নাম বলেছিলেন।এখনো অনেক রত্নাকর রয়েছে যারা রাম নাম করতে করতে ঋষি তে পরিণত হবেন।কার্যত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন বালুরঘাটের সাংসদ।