থ্যালাসেমিয়া হচ্ছে এমন একটি রোগ, যেটি উত্তরাধিকারসূত্রে হয়ে থাকে। আর এ রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে রক্তের ব্যাধি হয়ে থাকে, যা শরীরের হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত রক্তকণিকা তৈরির ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
আজ থেকে ৩৬ বছর আগে পূর্ব বর্ধমানজেলার মেমারি ২ ব্লকের কুচুট অঞ্চলের মোহনপুর গ্রামের বিশ্বনাথ মির্ধার অভিভাবকরা জানতে পারেন তাদের সন্তান ৫ বৎসর বয়সেই থ্যালেসেমিয়া আক্রান্ত হয়েছে। লড়াইয়ে হার না মেনেই হত দরিদ্র পরিবারের বাবা – মা তাদের সন্তানের জন্য সেই ৫ বছর বয়স থেকেই প্রতি মাসে এক ইউনিট করে রক্ত জোগাড় করছেন।
কখন গ্রামের মানুষ রক্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন অথবা জোগাড় করে দিযেছেন, আবার কখন অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি সংস্থা থেকে রক্ত কিনতে হয়েছে। গত সপ্তাহে ওই এলাকারই সাংবাদিক বন্ধু ও মেমারি প্রেস ক্লাবের সদস্য সাহিদুল ইসলাম বিশ্বনাথ বাবুর কথা জানতে পারেন। তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখেন বিগত কয়েকমাস ধরেই বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক সেন্টার থেকে নগদ অর্থ দিয়ে রক্ত কিনতে হচ্ছে যেটা ওই ৭ জনের পরিবারের কাছে খুবই কষ্টকর ব্যাপার. বিশ্বনাথ বাবু কে আর যাতে অর্থের বিনিময়ে নিজের রক্ত না কিনতে হয় তাই বৃহস্পতিবার সকালে মোহনপুর গ্রামে বিশ্বনাথ বাবুর বাড়িতে গিয়ে বড়শুল কিশোর সংঘ ও মেমারি প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আগামী ছয় মাসের ৬ টি রক্তের ডোনার কার্ড তুলে দেওয়া হলো থ্যালেসেমিয়া আক্রান্ত বিশ্বনাথ বাবুর হাতে।
উপস্থিত ছিলেন বড়শুল কিশোর সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ, মেমারি প্রেসক্লাবের সম্পাদক আনোয়ার আলী এবং মেমারি প্রেসক্লাবের সদস্য শাহিদুল ইসলাম, মোহনপুরের সমাজসেবী সংগঠনের মজিবর রহমান লায়েক,বাপ্পা শেখ, সুরজ লায়েক, বাবুল লায়েক, রঞ্জিত মান্ডি এবং ওই গ্রামেরই নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রার্থী কবিতা মান্ডি।
শুনবো কী বললেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বিশ্বনাথ মির্ধা, বড়শুল কিশোর সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ ও মেমারি প্রেস ক্লাবের সম্পাদক আনোয়ার আলি