স্বপ্না আইএনসি এন্টারটেইনমেন্ট এর ব্যাবস্থাপনায় নজরুল মঞ্চে পরিবেশিত হলো রবীন্দ্র তিরোধান দিবসে ” আজ ও আগামী বিদায়ের উদযাপনে, সমাপ্তির সমাবর্তনে বাইশে শ্রাবন” । অনুষ্ঠানের নেপথ্যে মূল কারিগর বিশিষ্ট অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। যদিও এখানে তিনি ছিলেন একজন যন্ত্রীর ভূমিকায়। তাঁর এই ভাবনায় এক করেছেন কবি শ্রীজাত, ইমন চক্রবর্তী, শোভন গাঙ্গুলি, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে সোহিনী সরকার,সৌরভ দাস, ইন্দ্রাশীষ রায়, অঙ্কিতা চক্রবর্তী -দের। রবি ঠাকুরের চলে যাওয়ার দিনটা একটু অন্যরকম ভাবে পালন করলেন সবাই।
২২ শ্রাবন আপামর বাঙালির কাছে আজও শোকের দিন। কিন্তু যাঁর প্রয়াণ ঘিরে এই শোক, তিনি নিজে বিশ্বাস করতেন বিদায়ের উদযাপনে, সমাপ্তির সমাবর্তনে। তাই এই বছর ২২ শ্রাবণ একটু অন্যরকম ভাবে পালিত হলো কবির নানা কাজ, গান, কবিতা, নাটক,ভাবনার মধ্যে দিয়ে। গানে ছিলেন শোভন গাঙ্গুলি, ইমন চক্রবর্তী।
শেষের কবিতা এর অংশ বিশেষ নাট্যরূপ পরিবেশন করেন সৌরভ দাস, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, অন্যদিকে রক্তকরবী এর নির্বাচিত অংশের নাট্যরূপ পরিবেশন করেন সোহিনী সরকার, ইন্দ্রাশীষ রায়। সমগ্র অনুষ্ঠানের ভাবনা, আবহ,পরিচালনায় যীশু এন্ড দ্যা রেট্রোডিকশনস্, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির পাশাপাশি নিজের লেখা দিয়ে অনুষ্ঠানের চিত্রনাট্য নির্মান করেছিলেন কবি শ্রীজাত। ইমনের গাওয়া গানের মধ্যে একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ, তোমায় গান শোনাবো, শোভনের কন্ঠে মাঝে, মাঝে তব দেখা পাই, সমবেত কণ্ঠে আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে উল্লেখযোগ্য। যীশু সেনগুপ্ত বললেন, ” সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ যাঁরা এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সব শেষে সবার উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের কাজকে সমাদর করা আমার চোখে জল এনে দিয়েছিল। ভবিষ্যতে সময়, সুযোগ হলে বাইশে শ্রাবণ আবার হবে।”