ক্রমশই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বেড়েই চলেছে অপরাধীদের কার্যকলাপ। অপরাধীদের কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে লুঠ বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাবহার করাটা যেন সিনেমার থেকেও সহজ হয়ে উঠছে। এই মুহুর্তে রাজ্যবাসীর একটাই প্রশ্ন এত আগ্নেয়াস্ত্র আসছে কোথা থেকে?
কিছুদিন আগেই রানাঘাটে একটি বিখ্যাত জুয়েলারি দোকানে প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি করার পর তারা এমন ভাবে পুলিশের সাথে গুলি বিনিময় করতে করতে হেটে চলে যাচ্ছিল ( যে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছিল ) তা দেখে মনে হচ্ছিল দুর্গা পুজোয় বাচ্ছারা ক্যাপ বন্দুক নিয়ে খেলছে। যদিও রাজ্য পুলিশ খুব দ্রুত সেই ডাকাতির কিনারা করেছেন।
অন্যদিকে আজ সকালেই বাঁকুড়া পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গত ৫ই সেপ্টেম্বর একাধিক খুনের মামলায় অভিযুক্ত শেখ সাদ্দাম যখন বাঁকুড়া জেল থেকে ছাড়া পেয়ে কাটোয়া ফিরছিল, ঠিক সেই সময়েই কেশিয়াকোল পাষ্ট অফিসের কাছে একটি পালসার মোটরসাইকেলে দুজন এসে সাদ্দাম কে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। শেখ সাদ্দামের গাড়িতে থাকা অন্য তিন জন গুলিবিদ্ধ হলেও শেখ সাদ্দাম কোনক্রমে বেঁচে যায়। তদন্তে নেমে বাঁকুড়া থানা বাইক চালকটিকে কুলটি থেকে গ্রেফতার করেছে।