স্বর্ণালী পাত্র, কলকাতা: শিক্ষানীতিতে এলো পরিবর্তন, রাজ্যের চার বছরের স্নাতক পাঠক্রমে ছাড়পত্র দিল শিক্ষা দপ্তর। বুধবার শিক্ষা দপ্তরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি,সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চার বছরের অনার্স কোর্স চালু হয়ে যাবে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সকল পড়ুয়ার সুবিধার্থে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
শিক্ষা দপ্তর দ্বারা এই পদক্ষেপ নেওয়ার সাথে সাথেই অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে এই যে প্রক্রিয়া রধ করা হয়েছে। ব্রাত্য বসু বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি না করে কলেজগুলিকে আলাদা আলাদা ভর্তির কথা বলেছি যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায়। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের যে সকল কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং পরিমার্জনের কাজ আমরা জরুরী ভিত্তিতে চালাবো। যাতে এই ব্যবস্থাটিকেও আমরা এই বছরই চালু করতে পারি।” নতুন এই শিক্ষানীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ” রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, যারা এই বছর স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে চলেছেন, তাদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা চার বছরের পঠন-পাঠন চালু করতে চলেছি। এতে তাদের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এবং একই সঙ্গে রাজ্যের বাইরে পড়তে চলে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।”
৩৪ বছর পর ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল আনে মোদি সরকার। প্রথম থেকেই যার বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রি-স্কুল থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সর্বস্তরেই আনা হয় বদল। বিধানসভা ভোটের প্রচারে এবার সেই শিক্ষানীতিকেই মেনে নিয়ে নিল রাজ্য। তবে একটি টুইট বার্তায় শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে,রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করছে না। রাজ্য যে পৃথক শিক্ষানীতি গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছিল তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে জাতীয় শিক্ষানীতিতেও চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু জাতীয় শিক্ষানীতি তে প্রস্তাবিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে “অতিরিক্ত কেন্দ্রিকরণ”সহ একাধিক বিষয়গুলির যে বিরোধিতা করা হচ্ছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী।
#clarification pic.twitter.com/V41rUguUkt
— Bratya Basu (@basu_bratya) May 31, 2023
গত শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এই দুটি বিষয় আলোচনা করে সবুজ সংকেত পেলে তবেই স্পষ্ট করে জানানো যাবে বিষয়টি। তারপর বুধবারই নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল শিক্ষা দপ্তর।