স্বর্ণালী পাত্র, কলকাতা: চলতি কথাই বলে প্রেমের বয়স হয় না। তবে কলিযুগে বিয়ের ও যে বয়স হয় না তা প্রমাণ করে দিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আশীস বিদ্যার্থী।
৬০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বার গাঁটছড়া বাঁধলেন অভিনেতা। ২৫ মে অসমের মেয়ে রুপালি বড়ুয়ার সঙ্গে কলকাতার একটি ক্লাবেই সম্পন্ন হয় তাদের শুভ পরিণয়। অসমের গুয়াহাটিতে জন্ম নিলেও প্রেশার টানে এখন কলকাতার বাসিন্দা রুপালি। তিনি কলকাতার ফ্যাশন জগতের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্যে কাছের আত্মীয়দের নিয়েই সইসাবুদ করে বিয়ে করেন আশীষ বিদ্যার্থী এবং রুপোলি বড়ুয়া। আইনি মতে বিয়ে সারার পর সন্ধ্যেবেলায় একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। পরিবার-পরিজন ও কাছের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সম্পন্ন হয় সমস্ত কাজটি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে রূপালী সেজেছিলেন সাদা ও সোনালী শাড়িতে। পরনে ছিল হালকা গয়না এবং সুন্দর সাজ। অন্যদিকে অভিনেতা পড়েছিলেন ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি। “জীবনের এই পর্যায়ে এসে জীবনসঙ্গী হিসেবে রুপলীর মত একজনকে পাশে পেয়ে তিনি অভিভূত”, এ কথাই বলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আশীস বিদ্যার্থী। অন্যদিকে রুপালি জানান, আশীসের মানবিকতায় তাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করেছিল।
নিউ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থীকে সোলজার, জিদ্দি, কাহনা পেয়ার হে, হাসিনা মান জায়েগি ইত্যাদি হিন্দি ছবিতে কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও শেষ ঠিকানা ও বোম্বাইয়ের বোম্বেট এর মত বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। হিন্দি ,বাংলার পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ছবিতেও তার পারদর্শিতা দেখা গেছে। এর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে রাজর্ষি বড়ুয়ার সঙ্গে। তবে সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার সত্বেও ভালোবাসার উপর আস্থা হারাননি তিনি। জীবনের প্রায় মাঝপথে এসে বাকি জীবনটা সুখে শান্তিতে কাটানোর জন্যই গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি।