পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজ মাধুরী দীক্ষিত এর ৫৬ তম জন্মদিন। তার জন্মদিনে দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিক্রলস-এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। বলিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। তার অসাধারণ নৃত্যকলা এবং অভিনয় তিন দশক ধরে মানুষের মন জয় করে এসেছে। তার প্রথম সিনেমা তেজাব থেকে শুরু করে দেবদাস বা দিল তো পাগল হ্যাঁয় ভারতীয় সিনেমায় একটা একটা গভীর ছাপ ফেলেছে। শুধু সিনেমা নয় দর্শকদের মনে তার স্থান অমলিন। কোটি কোটি যুবকের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন তিনি কয়েক দশক ধরে।
মাধুরী দীক্ষিত এর আসল নাম মাধুরী শঙ্কর দীক্ষিত। ১৯৬৭ সালে ১৫ই মে মুম্বাইতে একটি মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৩ বছর বয়স থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য শিক্ষণ শুরু করেন। তিনি প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজের সুযোগ্যা শিষ্যা। ১৯৮৪ সালে অবোধ তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। ১৯৮৮ সালে তেজাব সিনেমায় তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ১৯৯২ সালে বেটা সিনেমায় ‘ধাক ধাক করনে লাগা’ গানে তার নাচ দেখে মুগ্ধ হয় দর্শক। তখন তিনি ‘ধাক ধাক গার্ল’ নামে পরিচিত। ‘হাম আপকে হ্যাঁয় কউন’, ‘দেবদাস’, ‘দিল তো পাগল হ্যাঁয়’ সিনেমায় তার অসাধারণ নৃত্যশৈলীর জন্য তিনি আপামর ভারতবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
মাধুরী দীক্ষিত ৪ বার ফিল্ম ফেয়ার অ্যায়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার পেয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ‘ঝালাক দিক লাজা’ নামক রিয়্যালিটি শো তে তিনি বিচারকের দায়িত্ব সামলেছেন অনেক দিন। তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও পারদর্শী। তিনি পেনটার হিসেবেও খুব পরিচিত। অনেক বার বিভিন্ন শিল্প প্রদর্শনীতে তার আঁকা ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। বিয়ের পর সিনেমা দেখে বিরতি নিয়ে তিনি বরের সাথে ইউএস চলে গেছিলেন। ২০১১ সালে ফিরে এসে আবার অভিনয় শুরু করেন।
ইউনিসেফ(UNICEF) এবং ‘বেটি বাচাও বেটি পড়াও’ – এর গুডউইল অ্যাম্বাসাডর মাধুরী দীক্ষিত। কোঁকা কলা, ম্যাগি, ওলে সহ অনেক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে তিনি অভিনয় করেছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত। শিশুদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ সংক্রান্ত অনেক সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত তিনি। ২০১৪ সালে তিনি ‘অ্যাডভোকেট ফর চাইল্ড অ্যান্ড ইকুয়াল উইমেনস রাইটস’ –এর অ্যাম্বাসাডর নিযুক্ত হন।