১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে মুম্বাইয়ের ফিল্মি দুনিয়ার প্রয়োজক , পরিচালক , নায়ক -নায়িকারা মুম্বাইয়ের মাফিয়া ডনে দের সাথে যোগাযোগ প্রায় কমিয়ে দিয়েছিল। কারন তখন থেকেই পুলিশ এক এক করে ডেকে জেরা করছিল। সেই সময় সালমান খান, মমতা কুলকারনি সহ প্রযোজক রমেশ তোড়ানি এদের সকল কে এক এক করে মুম্বাই পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোরস ও গুন্ডা দমন শাখা জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল। অন্যদিকে সঞ্জয় দত্তের বাড়িতে বেয়াইনি ভাবে আত্যাধুনিক অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয় দত্ত কে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। সঞ্জয় দত্তের ওপর সেই থেকে বেয়াইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে টাডা ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছিল। হাজত বাসও হয়েছিল সঞ্জয় দত্তের যা আমরা সকলেই জানি। জেল থেকে মুক্তি পাবার পর থেকেই ভারতের জুব সমাজের একাংশের ও তার সাথে মুম্বাই ফিল্ম জগতের গুরুজন ব্যাক্তিদের সঞ্জয়ের প্রতি একটা আবেগ ছিল যে সঞ্জয় ভুল করে অন্ধকার জগতের সাথে বা নেশার দুনিয়ার সাথে জড়িয়ে পরেছে । সেই আবেগ কে সঠিক ভাবে জনসাধারনের কাছে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই সঞ্জয় দত্তের বায়োগ্রাফি করা হয় যার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রণবীর কাপুর ।
তারপর থেকেই সঞ্জয় দত্তের ভাব মূর্তি বদলে যায় জনগণের কাছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুম্বাই ফিল্ম জগতে SENIOR ARTIST এর তকমা লেগে যায়। কিন্তু এরপরেই আসে করোনা কাল । থমকে যায় পৃথিবী । করোনা কাল থেকে সদ্য মুক্তি পাবার পর থেকে মুম্বাই ফিল্ম জগত সেই অর্থে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। একের পর এক ফ্লপ ছবি বা সামান্য হিট করলেও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রযোজকরা। অন্যদিকে একের পর এক দক্ষিনি চলচিত্র গুলি গোটা ভারতে রাজত্ব করতে শুরু করে যার সামনে মুম্বাই ফিল্ম জগত আরও ভেঙ্গে পরতে শুরু করে । কারন মুম্বাই এ একটি ফিল্ম করতে খুব কম করে হলেও ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার এবং তাও হয়ে থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০% সুদের বিনিময়ে। এখানেই পথ ঘুরে মাফিয়া বা ডন -রা টাকা বিনিয়োগ করতেন । ফিল্ম হিট করলে ভালো আর না করলে ১০০ কোটি টাকার লোকসান যা করোনা কালের পর অনেকের-ই সহ্য করার খমতা এখন নেই । ঠিক এই সময়েই পাকিস্থানে লুকিয়ে থাকা দাউদ এর ঘনিস্ট মোরানি ব্রাদারস নতুন করে আমেরিকা কানাডা সহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে বলিউডই তারকা দের নিয়ে শো প্লান করছেন। কারন ফিল্ম ফ্লপ করলেও এই ধরনের ইন্টারন্যাশনাল শো কোন ভাবেই ফ্লপ করেনা।
এর আগেও মুম্বাই এর বেশ কিছু নামি দামি তারকারা বিদেশে শো করতেন যা ফিল্মি ভাষায় বলা হয় world tour. এই ধরনের শো শাহ্রুখ থেকে সালমান প্রায় সবাই করেছেন। এই ধরনের শো এর টিকিট বিক্রি হয় ভীষণ ছড়া দামে এবং বিনিয়োগ করা হয় কোটি কোটি ডলার, এছারাও আসে কোটি কোটি ডলারের স্পন্সরশিপ । ফিল্মি তারকাদের যাতায়াত খরচা , তাদের কে বিলাস বহুল হোটেলে রাখার খরচা সব টাই বহন করেন এই শো- এর আয়োজকরা ।
এবার বিশেষ সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয় দত্তের সাথে ইন্সটাগ্রামে যোগাযোগ রাখছেন দাউদ ইব্রাহিম এর ভাই আনিস ও তার পরিবার। আনিস এর দুই সন্তান ইব্রাহিম আলি ও মেহেরান যারা বর্তমানে কানাডা তে থাকেন তারা সঞ্জয় দত্ত কে চাচা অর্থাৎ কাকা বলে ডাকেন । এখানেই বোঝা যাচ্ছে সঞ্জয় দত্ত দাউদের পরিবারের অন্যতম সদস্য দের মতই। এছাড়া সঞ্জয় দত্তের ইন্সটাগ্রাম এ দাউদের পরিবারের মহিলারাও যোগাযোগ রাখেন। আমেরিকা ও কানাদায় যে শো-য়ের ব্যবাস্থা করা হচ্ছে তা নিয়ে বিদেশে গুঞ্জন শুরু হয়েগেছে আর মুম্বাই থেকে বেশ কিছু নায়ক- নায়িকা সহ প্লেব্যাক সিঙ্গার দের বিদেশে নিয়ে যাবার পুরো দায়িত্ব টাই দেওয়া হয়েছে সঞ্জয় দত্তের ওপরে।
কয়েক বছর আগেও মুম্বাইয়ের একটি হোটেল থেকে সঞ্জয় দত্ত পাকিস্থানে দাউদের ডান হাত হিসাবে পরিচিত ছোটা শাকিলের সাথে ফোনে ক্তহা বলেছিলেন যা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
এখানেই বোঝা যাচ্ছে ভারতের বাইরে গিয়ে বলিউডে ফিল্ম-এর তারকা দের সাথে বিদেশে দাউদের গ্যাং এর সাথে সু-সম্পর্ক আগের মতই আছে।