পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ কদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ঘোড়া ফেরা করছে। HDFC ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের অনলাইন মিটিং-এর একটি ভিডিও। যাতে দেখা যাচ্ছে উর্দ্ধস্তন এক কর্মচারী নিম্নস্তন কর্মচারীদের সাথে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছে গালি গালাজ করছে। ভিডিও দেখে চমকে ওঠে নেট দুনিয়া। এই ভিডিও ভাইরালের পর সেই উর্দ্ধস্তন কর্মচারীর চাকরি চলে গেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এটা তো ভাইরাল হল, আর বাকিরা? হ্যাঁ প্রতিটি বেসরকারি সংস্থার চিত্রটা এমনই। বেসরকারি কাজ যোগার করতে গেলে সেই অর্থে পরিশ্রম করতে হয়না তাই আজকের যুবসমাজ বেসরকারি চাকরির দিকে বেশি ঝুঁকছে। কিন্তু কর্পোরেট দুনিয়ার চিত্রটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে মাইনে কম থেকে বেশি যাই হোক না কেন কাজের চাপ খুব বেশি। এর পাশাপাশি উর্দ্ধস্তনদের বাক্যবাণ তো রয়েছেই।
ম্যানেজার বা টিম লিডারদের ব্যবহার বলার মত না। তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের থেকে নিচু কর্মচারীদের ওপর। কাজের এত চাপ তার ওপরে এই ব্যবহার, মানসিক শান্তি বলে কি কিছু আছে তাদের? তার পরও তাদের মুখ বুঝে সবটা সহ্য করতে হয় চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে।
আজকের দিনে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম আর মেধার প্রয়োজন। এরপরও চাকরি পাছে লক্ষ লক্ষ মেধাবী ছেলেমেয়ে। সরকারি না পেয়ে বেসরকারির দিকেই যাচ্ছে তারা। অনেকে আবার এই খাটনির জন্য শুরুতেই বেসরকারি চাকরি শুরু করছে। সেই কর্মক্ষেত্রে যদি পরিবেশ এমন হয় তবে এই সমস্ত ছেলেমেয়েরা কি করবে?
শুধুমাত্র চাকরি বাঁচানোর জন্য মুখবুঝে সমস্ত কথার ঝাল সহ্য করছে সকলে। এটাই কি জীবন? এই মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করে তারা কি করবে এরপর? দেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সেই খানে দাঁড়িয়ে এই ভিডিও বহু ছেলেমেয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দেওয়ায় সামিল।