আগামী ১৬ই জুন রবিবার সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হবে বাবা দিবস অর্থাৎ ফাদার্স ডে।এই দিনটিতে প্রত্যেক সন্তান তাদের বাবাদের বিশেষ উপভোগ করানোর জন্য দিনটিকে নিজেদের মতো করে পালন করে থাকেন।কিন্তু জানেন কি এই ‘ফাদার্স ডে’র ইতিহাস!!আসুন জেনে নিন বিস্তারিত।তার সাথে থাকলো আপনাদের বাবা দের জন্য ফাদার্স ডে উপলক্ষে কিছু টিপস। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেমন মা এর অবদান অনস্বীকার্য তেমনি বাবার ভূমিকা প্রত্যেক সন্তানদের জীবনে সমান ভাবেই গুরত্বপূর্ণ।বাবারা শুধু মাত্র নিজেদের সন্তানদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য সারাদিন এমনকি সারাজীবন পরিশ্রম করে হাসি মুখে।এক কথায় মা এর পরিপূরক বাবা।চলুন জেনে নি ফাদার্স দে পালনের ইতিহাস।
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাবা দিবসের উদ্বোধন করা হয়েছিল। বাবা দিবস 1910 সালে ওয়াশিংটনের স্পোকেনে, ওয়াশিংটনের সোনোরা স্মার্ট ডড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি আরকানসাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।এরপর থেকে ইউনাইটেড কিংডমে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার করে বাবা দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকে।এছাড়াও সারা বিশ্বব্যাপী এই দিন ফাদার্স ডে হিসেবে সবাই পালন করে থাকেন।
যেই বাবারা সন্তানের মুখের হাসির জন্য সারাবছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেন আপনারাও কিভাবে একদিন তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেন জেনে নিন।সর্বপ্রথম বাবাকে প্রণাম করে আপনার তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসার কথা একটা দিন ওনাকে বলেই ফেলুন।এরপর ওনার পছন্দের রান্না নিজের হাতে তৈরি করে ওনাকে খাওয়াতে পারেন এ ছাড়া লাল গোলাপ দিতে পারেন কারণ লাল গোলাপ বাবা দিবসের আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্ব। অনেক সংস্কৃতিতে, লাল গোলাপ বাবা দিবসের জন্য একটি ক্লাসিক প্রিয় যা গভীরভাবে প্রেম, স্নেহ এবং আপনি তার সম্পর্কে কতটা যত্নশীল তা বোঝায়। লাল গোলাপের আরেকটি ভিন্ন অর্থ রয়েছে যেখানে এটি বেঁচে থাকা বাবাকে সম্মান করে।তাছারাও কোনো পোশাক ঘড়ি ওয়ালেট এগুলো আপনি আপনার ইচ্ছেমতো দিতেই পারেন।
ফাদার্স ডে বিদেশি সংস্কৃতি হলেও তা ধীরে ধীরে বাঙালি দেড় আবেগ হয়ে উঠেছে।তাই চলুন সবাই মিলে আগামী রবিবার নিজেদের বাবাদের উদ্দেশ্যে ঘরে ঘরে পালন করি ফাদার্স দে।