Home » সুপ্রিম কোর্ট ও মুখ্যমন্ত্রীর কাজে ফেরার নির্দেশ খারিজ জুনিয়ার ডক্টরদের

সুপ্রিম কোর্ট ও মুখ্যমন্ত্রীর কাজে ফেরার নির্দেশ খারিজ জুনিয়ার ডক্টরদের

অম্বিকা কুন্ডু ,কলকাতা
কতদিন অর্থাৎ ৯ ই সেপ্টেম্বর ছিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিন। ঐদিন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের আজ অর্থাৎ ১০ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে কর্ম বিরতি থেকে কর্মে যোগদান করার জন্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মতি জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের করবে যোগদানের নির্দেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানি এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জুনিয়র ডাক্তাররা ৯ই সেপ্টেম্বর একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন।
সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান তিলোত্তমা বা অভয়ার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের একমাস পরও অধরা রয়ে গেছে সুবিচার।
তারা জানান সিবিআই তিলোত্তমা বা অভয়া ধর্ষন হত্যাকাণ্ডের যে তদন্তভার সিবিআই গ্রহণ করেছিলেন তাতে কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। সুবিচারের পাওয়ার জন্য হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয় তারা। সেখানে সুবিচারের পরিবর্তে রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিম্বল জুনিয়র ডাক্তারদের কর্ম বিরতি কে থামানোর চেষ্টা চালানো হয়। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারের আইনজীবী দাবি জানান জুনিয়র ডাক্তারদের কর্ম বিরতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং বহু রোগীরা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। এই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন এ রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালে সংখ্যা ২৪৫ টি এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ সংখ্যা ২৬ টি। এর পাশাপাশি রেজিস্টার ডাক্তারের সংখ্যা ৯৩০০০ এর বেশি এবং জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা ৭৫০০ কম। এবং তারা জানান প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সিনিয়র ডাক্তারের সমস্ত রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছে এমতাবস্থায় জুনিয়র ডাক্তার দের কর্ম বিরতির কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের অচল অবস্থায় দাবী সম্পূর্ণই মিথ্যা। এই দাবি তোলার লক্ষ্য জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনের পর থেকে হরিয়ানা এর পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষেরও এই আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তারা এও জানান যদি জুনিয়র ডাক্তারদের কর্ম বিরতির কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অচল অবস্থা বা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় তবে তার দায়ভার সম্পূর্ণই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর।


গত ২৭ শে আগস্ট এর ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক হিংসাত্মক কর্মসূচি সম্পূর্ণ দায় রাজ্যের আইনজীবী জুনিয়র ডাক্তারদের হারে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ জুনিয়র ডাক্তারেরা ২৬ আগস্ট সেই কর্মসূচির প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মূল ঘটনায় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এই ঘটনা আর তদন্তের সম্পূর্ণ দায়ভার সিবিআই এর উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন। রাজ্য সরকার পুলিশে গাফিলতি স্বাস্থ্য দুর্নীতি এসবের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
সন্দীপ ঘোষ , বিরুপাক্ষ এবং অভীক ঘোষের সাসপেনশন কে সম্পূর্ণই সার্চ দিয়ে মাছ ঢাকা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এদের সাসপেনশন লেটারে কোথাও কেন সাসপেনশন করা হয়েছে তা উল্লেখ নেই।

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি তারা এই কর্ম বিরতি আন্দোলন চালিয়েই যাবেন যতদিন না সুবিচার পাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!