শোভন মল্লিক, কলকাতা: রবিবার অর্থাৎ ৩০শে এপ্রিল স্বর্ণযুগের গীতি নায়ক মান্না দে-এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হলো কলকাতার উত্তম মঞ্চে। হয়তো জন্ম বার্ষিকী বলাটা ভুল হবে, জন্মদিন বলাটাই শ্রেয় । তাঁর গান দিয়েই বলা যেতে পারে, “যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে , যদি পাথরে লেখ নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে , যদি হৃদয়ে লেখ নাম সে নাম রয়ে যাবে” । সত্যিই তো তার নাম , তাঁর স্মৃতি সবই তো আমাদের হৃদয়ে লেখা। সেই কারণেই তো তিনি আমাদের মধ্যে না থেকেও রয়েছেন চিরকাল । এই ভাবেই তো তিনি সঙ্গীত জগতে আজীবন জীবিত রয়েছেন।
স্বর্ণযুগের এই গীতি নায়কের স্মৃতিচারণে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । সেই অনুষ্ঠানে তাঁর নানা গান সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় । এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তন্ময় কর । তিনি শুধুমাত্র সমাজসেবার সঙ্গেই নয়, তিনি প্রাইম এন্টারটেইনমেন্ট-ও পরিচালক ।
এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিশেষ নানান খ্যাতনামা গায়ক গায়িকা। যেমন – গৌরব সরকার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অরিত্র দাসগুপ্ত। তার সাথে বিশেষ চমক হিসাবে, অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বাচিক শিল্পী শ্রী বসু । তাদের গানের সুরে এবং মন্ত্রমুগ্ধ-কর পরিচালনায় মেতে উঠেছিল উত্তম মঞ্চ। শুধু যে গানের সুরে এবং কথার স্রোতেই মানুষ ভেসে গিয়েছিল তা নয়। সঙ্গে নবনীর বৃদ্ধাশ্রম এর আবাসিকদেরও সম্বর্ধনা জানানো হয় । সঙ্গে আরও বেশ কিছু সমাজসেবামূলক কাজ দেখা গিয়েছে মান্না দে-এর জন্মদিন উদযাপনের শুরুতে। তাঁর মতো সুন্দর মনের মানুষের জন্মদিনে এমন সুন্দর কাজ না হলে তো তাঁর জন্মদিন সত্যিই অসম্পূর্ণ।
সঙ্গে আরও বেশ কিছু কলকাতার বিশিষ্ট মানিগুণী ব্যক্তিদের দেখা গিয়েছিল মঞ্চে। কলকাতা পৌরসভার এক বিশেষ ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে । সঙ্গে সেখানকার পৌরপিতা এবং নানা সমাজ সেবা মূলক কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিগণ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।
এইভাবে গানের ছন্দে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কথায় ভরে উঠেছিল উত্তম মঞ্চের পেক্ষাগৃহ। শনিবার বিকেলে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও মান্না দে -কে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার টানে ছুটে এসেছিল দর্শকগণ। ৮ থেকে ৮০ সকল দর্শকেরই দেখা মিলেছিল সেখানে। এই ভাবেই চিরজন্ম হাজার টাকার ঝাড়বাতির মতোই স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করবে মান্না দে ও তাঁর সমস্ত গান।