হিন্দুশাস্ত্র মতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিথি হল অম্বুবাচী। অসমের কামাখ্যা মন্দিরে এই অম্বুবাচী উৎসব উপলক্ষ্যে বিপুল জন সমাগম হয় প্রতিবার। সেখানে এই বিশেষ পার্বনে বসে মেলা। অম্বুবাচী স্থানভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত, কোথাও অমাবতী তো কোথাও রজঃ উৎসব নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্মীয় মতে এই অম্বুবাচী ঘিরে নানান শাস্ত্রমত প্রচলিত। দেখা যাক, ২০২৪ সালে কবে পড়ছে অম্বুবাচী।
অম্বুবাচী কবে পড়ছে- ২০২৪ সালে অম্বুবাচী প্রবৃত্তি অর্থাৎ এই তিথি ক্ষণ শুরু হবে ২২ জুন। তার ৩ দিন পর এই সময়কাল শেষ হবে। ২২ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত কোন সময়ক্ষণে অম্বুবাচী শুরু হতে চলেছে, দেখা যাক। এই অম্বুবাচী উৎসব ঘিরে বর্ণিত রয়েছে বহু কাহিনী। রয়েছে বহু আচার অনুষ্ঠানও। তবে দেখে নেওয়া যাক, এর তিথি।
কখন থেকে শুরু অম্বুবাচী- ২২ জুন অর্থাৎ ৭ ই আষাঢ় সন্ধ্যা ৬ টা ৩১ মিনিটে পড়ছে অম্বুবাচীর তিথি। আর তা শেষ হবে ১০ আষাঢ় অর্থাৎ ২৫ মে রাত ১ টা গতে। প্রসঙ্গত, এই অম্বুবাচী তিথিতে কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ পুজো পালিত হয়। এই সময় শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে। করা হয় না কৃষিকাজ। এই সময় ব্রহ্মচারী, বিধবা, যোগী পুরুষকরা ফলাহার করে থাকেন, আগুনে রান্না কিছু তাঁরা খান না। এই রীতি পালনের নেপথ্য়ে রয়েছে একটি বিশ্বাস।
অম্বুবাচী ঘিরে কাহিনি- বিশ্বাস রয়েছে, আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থপদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা রূপে সম্বোধন করে শাস্ত্র মতে এই ৩ দিন কোনও মাটি খুঁড়ে চাষাবাদের কাজ হয় না। যেহেতু ঋতুমতী মহিলারাই কেবল সন্তান ধারণ করতে পারেন, তাই মনে করা হয় অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও সেই রূপেই আরও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। এই বিশ্বাস থেকে ৩ দিন দেবী মন্দিরে ঢাকা থাকে দেবীর মূর্তি। অম্বুবাচী কাটলে শুরু হয় পুজো, মঙ্গলানুষ্ঠান। অন্যদিকে, ধরিত্রীর উপর কাঠ চাপিয়ে আগুন ধরিয়ে এই সময় করা রান্নার পদ মুখে নেননা বহু যোগী পুরুষ, সন্ন্যাসী, বৈধব্যে থাকা মহিলারা।