বাঙালির সাথে বিরিয়ানির সম্পর্ক আজকের না। কলকাতার বিরিয়ানির যাত্রাপথ সেই নবাব ওয়াজেদ আলির হাত ধরে যা আজ বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে প্রথম সারিতে চলে এসেছে। নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ ছিলেন একজন সঙ্গীত ও কবিতা প্রেমী মানুষ। ইংরেজ দের অত্যাচারে রাজপাট লাটে ওঠার পর তিনি চলে আসেন তার পছন্দের শহর কলকাতায়। ওয়াজ আলির সাথে চলে আসেন তার পছন্দের কবি, সঙ্গীতশিল্পী, রাঁধুনি সহ অনান্য সাধারণ মানুষ। সৌখিন এই নবাবের ঘুড়ি ওড়ানো, কবুতরবাজীর সাথে শখ ছিল লোক খাওয়ানোর। আর এখান থেকেই বাংলায় বিরিয়ানির যাত্রাপথ শুরু। সেই সময় নবাবের আর্থিক সঙ্গতি বিশেষ না থাকায় বিরিয়ানির পরিমান বাড়াতেই আলুর প্রয়োগ শুরু হয়। যদিও সে সময় আলু ছিল এলিট লেভেলের সব্জী। ওয়াজেদ আলীর সেই বিরিয়ানির ধারা কলকাতায় আজও বয়ে চলেছে। আর সেই ধারা আজও বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে এগিয়ে রেখেছে আরসালান।
কলকাতার বিরিয়ানি জগতে আরসালান অতিপরিচিত একটি নাম। যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল প্রায় দুদশক আগে কোলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে। দুর দুরান্ত থেকে মানুষ বিরিয়ানি আর কাবাবের রসনা তৃপ্ত করতে আসতেন এই পার্ক সার্কাস অঞ্চলের আরসালানেই। কিন্তু এখন দিনকাল বদলেছে। অনান্য বহুজাতিক রেস্তোরাঁর মতো চেন রিটেলে এগিয়ে এসেছে আরসালান।
দেখতে দেখতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আরসালান তার ৩০তম আউটলেট খুলে ফেললো দক্ষিণ কলকাতার ইডিএফ গ্রাউডের কাছেই। এখন হাত বাড়ালেই আরসালান।
কষ্ট করে আর পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে যাবায দরকার নেই। এদিন আরসালানের ৩০তম আউটলেটের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন বাংলা বিনোদন জগতের অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা। আপনাদের জন্য রইলো ছবি ও ভিডিও।