পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ ভারতীয় সঙ্গীত জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রাহুল দেব বর্মণ। সচিন দেব বর্মণের সুযোগ্য পুত্র যিনি যেকোন গানকে এক কথায় হিট গান করে দিতে পারতেন। তার সুরের জাদু আজও ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে। এই মানুষটার ৮৪ তম জন্মদিন আজ। দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিক্লস এর পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সুরকার হিসেবে তার জয়যাত্রা ছিল প্রাতঃস্মরণীয়। সেই সময়কার এমন কোন সঙ্গীত শিল্পী নেই যিনি তার সুরে গান করেননি। আজ এত বছর পরেও ‘ইয়াদো কি বারাত’, ‘খুবসুরত’, ‘সানাম তেরি কসম’, ‘১৯৪২ আ লাভস্টোরি’, ‘শোলে’ – সিনেমার গান মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। যদিও ‘১৯৪২ আ লাভস্টোরি’ সিনেমার পর তার হাতে দীর্ঘ বেশ কিছু দিন কোন কাজ ছিল না। বেশ কিছু সমালোচকরা বলেন সুর নিয়ে আর ডি বর্মণ অনেক এক্সপেরিমেন্ট করলেও সবটাই করেছেন মেলোডির জন্য, মেলোডি বাদ দিয়ে তিনি কোন কম্প্রোমাইজ করেননি।
এহেন প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গীত ছাড়াও ছিল আর এক নেশা। শুনলে অবাক হতে হয় তিনি লঙ্কা চাষ করতে ভালোবাসতেন। দিনের অনেকটা দিতেন কাটাতেন লঙ্কা চাষের জন্য। তার বাড়ির গ্যারাজের ওপরের ছাদে বিভিন্ন টব, গামলায় বিভিন্ন রকম লঙ্কা চাষ করতেন।
বর্মা, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি বহু দেশ থেকে লঙ্কার বীজ নিয়ে এসে চাষ করতেন তিনি। শুধু চাষ নয়, লঙ্কার ব্রিডও করতেন তিনি। এক লঙ্কার বীজের সাথে অন্য প্রজাতির লঙ্কার ক্রস করিয়ে নতুন প্রজাতির লঙ্কা তৈরির চেষ্টা করতেন তিনি। যদিও সব যে সফল হত তা অবশ্য নয়। আবার যদি কোন এমন গাছে লঙ্কা হত তখন শিশুদের মত আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে উঠতেন তিনি। শুধু তাই নয় সেই লঙ্কা তিনি সকলকে উপহার দিতেন। সঙ্গীত জগতের রথী মহারথী সকলেই কখনও না কখনও সেই উপহার পেয়েছেন।