পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতা: এখন বর্ষাকাল চলছে। বর্ষাকালে শরীর অসুস্থ হওয়ার ভয় সবথেকে বেশি। এই বর্ষার সময় খাওয়া-দাওয়ার দিকে একটু বেশিই নজর দেওয়া উচিত। যদিও বর্ষাকালেই বৃষ্টির সময় নানা রকম খাবার খেতে মন চায়। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো না হলে হতে পারে নানা রকম সংক্রমণ পেটের রোগ প্রভৃতি। বর্ষাকালের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব প্রয়োজন। পাশাপাশি কিছু খাবার এড়িয়ে চললে শরীর সুস্থ থাকবে বর্ষাকালে। এগুলো কি জেনে নেওয়া যাক
তেলেভাজা জাতীয় খাবার: বর্ষার মরশুমে সন্ধ্যে হলে এই মন চলে যায় নানা রকম ভাজাভুজির দিকে। বৃষ্টির সময় চপ মুড়ি সিঙ্গারা বা দুপুর বেলা খিচুড়ির সাথে গরম গরম পাপড় ভাজা বর্ষাকালের অন্যতম প্রিয় খাদ্য। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন বর্ষাকালে ভাজাবুজিটা কম খাওয়াই উচিত। ভাজাভুজি মনের খেয়াল রাখে ঠিকই তবে শরীরের জন্য তা খুবই ক্ষতিকর বিশেষত বর্ষাকালে। হজমের গোলমাল দেখা যায় বাপ পেটে অনেক রকম সমস্যা শুরু হয় এই ভাজা বুজি থেকেই। বর্ষাকালে এই সমস্যাগুলো শরীরের আর্দ্রতা অনেকটা কমিয়ে দেয়। যার ফলে সুস্থতা অনেকাংশ বিঘ্নিত হয়।
সামুদ্রিক খাবার: বর্ষাকালে সামুদ্রিক খাবার একদম খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে চিংড়ি পমফ্রেট জাতীয় মাছ। বৃষ্টির কারণে এই সময় জলে প্যাথোজেন ও ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। যা প্রবেশ করে মাছের দেহেও। সমুদ্রে এই প্যাথোজেন ও ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। যার ফলে সামুদ্রিক মাছগুলিতে এই সময় ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। সেই ব্যাকটেরিয়া যুক্ত মাছ খেলে হজমের গন্ডগোল সহ পেটের নানা রকম অসুখ হতে পারে। তাই বর্ষাকালে সামুদ্রিক খাবার না খাওয়াই ভালো।
মাশরুম: মাশরুম এখন অনেকের বাড়িতেই খুব ব্যবহার হয়। ফ্রাইড রাইসে, চাউমিনে বা চিলি মাশরুম এখন খুব জনপ্রিয় খাবার। রেস্টুরেন্ট এর পাশাপাশি মানুষের বাড়িতেও তৈরি হয় এই খাবারগুলি। তবে বর্ষাকালে মাশরুম এড়িয়ে চলাই ভালো। বর্ষাকালে মাশরুমে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সবথেকে বেশি হয়। মাশরুম সাধারণত জলা জায়গাতেই হয়, সাথে বৃষ্টির জলে মাশরুমের উপকারিতা এবং স্বাদ অনেকটাই কমে যায়। উপকারিতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মাশরুম ক্ষতিকর হয়ে ওঠে বর্ষাকালে। তাই বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়াযুক্ত মাশরুম খেলে পেটের রোগ হবেই। বছরের আর যে সময়ই মাশরুম খাওয়া হোক না কেন বর্ষাকালে মাশরুমটা তাই না খাওয়াই উচিত।