পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ সংবিধানের ৩৭৬ নং ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের বিরুদ্ধে শাস্তির নির্দেশ আছে অপরাধীর। কিন্তু এই ধারার অপব্যবহার করছেন মহিলারা এমনই ধারণা দিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতির। গতকাল এক মহিলার আনা ধর্ষণের অভিযোগের রায় দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বিচারপতি শারদ কুমার শর্মা। তার মতে কোনও মহিলার পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটলেই তারা পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে। এক্ষেত্রে আইন মহিলাদের দিকে হওয়ায় অকারণ শাস্তি পেতে হয় অনেক নির্দোষ ছেলেকে।
এক মহিলা তার পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ আনেন উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে। তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খারিজ করেই এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে কোন পরিস্থিতিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেটা আগে জানা দরকার। আদালতের পর্যবেক্ষণ বলছে ওই মহিলা ১৫ বছর ধরে ওই পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত। কিন্তু তারপর ছেলেটি অন্যত্র বিবাহ করে। তারপরও তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক বর্তমান ছিল। এখন এতদিন পর মহিলা অভিযোগ করছেন। ওই ব্যক্তি বিবাহিত জেনেও মহিলা সম্পর্ক রেখেছিলেন এবং শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল উভয়ের সম্মতিতে। সেক্ষেত্রে এটা কখনই ধর্ষণ হতে পারে না। তাই অভিযোগ খারিজ করে দেন বিচারপতি।
বর্তমানে আইন অনেকটাই মেয়েদের সহায়ক। কিন্তু তারই অপব্যবহার করে চলেছেন মেয়েরা। কিছু দিন আগে গারস্থ্য হিংসার আইন ৪৯৮ সংক্রান্ত অপব্যবহারের অনেক ঘটনা শোনা যাচ্ছিল। বহু নির্দোষ ছেলে এর কারণে জেল খেটেছে। একাধিক আদালত এই নিয়ে সরব হয়েছিল পূর্বেই। এখন ধর্ষণের আইনের অপব্যবহার নিয়েও সরব হওয়া দরকার তাদের। সারা দেশ যেখানে মণিপুর কাণ্ডে মহিলাদের অত্যচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু মহিলা তাদের সুবিধার অপব্যবহার করছেন। এই বিষয়ে কিছু পুলিশি তৎপরতার অগ্রগতি ও গ্রেপ্তারির নিয়মে কিছু বদল আনা অবশ্য প্রয়োজন।