জমি অধিগ্রহন” নিয়েই তৃনমূল কংগ্রেস শাষকের ক্ষমতায় এসেছিল। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের জমি অধিগ্রহন কে কেন্দ্র করে যে সংঘাত তৈরী হয়েছিল তা বাংলার রাজ্য রাজনীতির এক ঐতিহাসিক পর্ব। যেখানে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের মানুষের ওপর পুলিশ ও সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তার সাথে ছিলেন বাংলার সমগ্র বুদ্ধিজীবীরা।
রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর থমকে যায় জমি অধিগ্রহণ। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আন্দোলনের চাপে সিঙ্গুর থেকে টাটা কেও সরিয়ে নিতে হয় ন্যানোর কারখানা যা এখন গুজরাতে সানন্দে রমরমিয়ে চলছে এবং নতুনদের জন্য কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরী করেছে। যদিও টাটার সাথে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই টানাপোড়েনে মহামান্য আদালত টাটার পক্ষে রায় দিয়ে বর্তমান রাজ্য সরকার কে টাটার ক্ষতিপুরন বাবদ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা দেবার আদেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের তদন্তের চাপে এমনিতেই শাষকদলের হাসফাস অবস্থা তার ওপর সামনে আসছে আবারও জমিঅধিগ্রহন এ শাষক দলেরই দুস্কৃতিদের যোগসাযোগের অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস দফতরের অধীনস্থ গ্যাস অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কোন একটি প্রকল্পের জন্য হুগলীজেলার চন্ডীতলার মশাট গ্রামের ওপর দিয়ে পাইপ লাইন যাবে। এই কারনেই বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহন। আর অভিযোগ এর মধ্যেই নেমে পড়েছে শাষক দলের ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ারা। তারা সাধারণ কৃষকদের জমি জোর করে হুমকি দিয়ে কম দামে লিখিয়ে নিতে চাইছে। গেইলের কোন আধীকারিক জমি মালিকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করছেন না বা রাখছেন না।
অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ভূমি দপ্তর, ব্লক অফিস এবং থানা থেকেও গরিব কৃষকদের ভয় দেখানো হচ্ছে, চাপ দেওয়া হচ্ছে। কৃষক পরিবার তাদের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার দাবি তুলছে। আজ সংবিধান দিবসের দিনে কৃষকদের উপর জুলুম নির্যাতন , জবরদস্তি জমি কেড়ে নেওয়ার ঘটনা সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর শামিল।