এই মাত্র পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী, ভারত সহ সমগ্র পৃথিবীতে আতঙ্কবাদ প্রচার ও নানান জঙ্গী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা ও ষড়যন্ত্রে জড়িত মোস্ট ওয়ান্টেড আতঙ্কবাদী জৈশ এ মহম্মদ এর শীর্ষ নেতৃত্ব মউলানা মাসুদ আজহার কে একটি দুর নিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরনে হত্যা করা হয়। সুত্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ পাকিস্তানে ভাওয়াল পুর মসজিদ থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর নিয়ন্ত্রিত কোন বোমা বিস্ফোরনের মাধ্যমে মউলানা মাসুদ আজহার কে হত্যা করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মাসুদ আজহারের দেহাবশেষ এখনো বিস্ফোরন স্থল থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে পাকিস্তানের তদন্তকারী দল কে।
এই হত্যার পিছনে আশঙ্কা করা হচ্ছে “সেই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিকে ” যিনি বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই আতঙ্কবাদের আতুরঘর পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ভারতের শত্রু বিভিন্ন আতঙ্কবাদী দলের নেতৃত্বদের নিকেষ করছেন। যদিও পাকিস্তান সরকারের দাবী এই সব হত্যার পিছনে হাত রয়েছে ভারতের সুরক্ষা দফতর “র” এর, কিন্তু “র” সরাসরি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে “র” কোন হত্যা বা নাশকতা মুলক কাজে লিপ্ত থাকে না। আর যেভাবে পাকিস্তানের বুকে একের পর এক হত্যা চলছে তা কখনই “র” এর পক্ষে সম্ভব নয়।
বার বার উঠে আসছে “অজ্ঞাত পরিচয়” ব্যাক্তির প্রসঙ্গ। তবে সে যেই হোক, অবশ্যই তিনি ভারত বন্ধু।
বর্ষশেষে এই অজ্ঞাত পরিচয় ভারত বন্ধু পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ কে ( যিনি সরাসরি মুম্বাই সিরিয়াল বিস্ফোরন মামলায় অভিযুক্ত ) বিষ প্রয়োগ করে হত্যার খবর দিয়েছিলেন যা এখনও রহস্য হয়েই আছে। দাউদের পরিবার ও পাকিস্তান সরকার তা কোন ভাবেই স্বীকার করার জায়গায় নেই। সেই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই নববর্ষের প্রথম দিনেই ভারত কে উপহার স্বরুপ দিলেন মউলানা মাসুদ আজহারের মৃত্যুর খবর। এই সেই জৈশ এ মহম্মদ এর শীর্ষ নেতা যিনি ভারতে গ্রেফতার হয়ে জেল বন্দী ছিলেন এবং ২৪শে ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে ভারতের যাত্রীবাহী বিমান আই সি ৮১৪ কে হাইজ্যাক করে যাত্রীদের পনবন্দী করে নিজেকে মুক্ত করে পাকিস্তানে পালিয়েছিলেন।
জৈশ এ মহম্মদ এর শীর্ষ নেতা মউলানা মাসুদ আজহারের মৃত্যুর সংবাদ ভারতীয় দের জন্য নববর্ষ উদযাপনের আনন্দ দ্বিগুন বাড়িয়ে দিল বলেই আশাকরা যায়।