সাম্প্রতিককালে বাঙালী আবার বইপ্রেমী হচ্ছে । যদিও এ নিয়ে তর্কের শেষ নেই তবে ” থ্রিলার নিয়ে থ্রিলিং মিটআপ” এই প্রথমবার । বইপ্রেমীদের কাছে অভিযান পাবলিশার্স এখন অতি পরিচিত একটি নাম । যাদের প্রকাশিত বই “রবীন্দ্রনাথ এখানে খেতে আসেননি” এবং অন্য থ্রিলার গল্পের বইগুলির বিক্রির পরিমান বাংলার প্রথম সারির পাবলিশার্সদের ব্যবসাকেও হার মানিয়েছে । এবার সেই অভিযান পাবলিশার্স-এর উদ্যোগেই কলকাতায় এক অভিনব আয়োজন । যেখানে অংশগ্রহণ করেছেন থ্রিলার লেখক লেখিকা সহ বিভিন্ন পাঠক পাঠিকা। বাংলা ভাষার প্রথম থ্রিলার লিট ফেস্ট।
বাংলাদেশের বাংলা ভাষার জনপ্রিয়তম থ্রিলার লেখকের নাম মোহাম্মদ নাজিম
উদ্দিনের জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। নাজিম উদ্দিনের জন্ম ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরে ঢাকাতেই সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর । তার লেখা জনপ্রিয় থ্রিলার নেমেসিস, কন্ট্রাক্ট, নেক্সাস, কনফেশন, করাচি, জাল, ১৯৫২ এবং রবীন্দ্রনাথ
এখানে কখনও খেতে আসেননি।
৮ দিনে । মোট ২২টি সেশন। থ্রিলারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করবেন শতাধিক আলোচক। থ্রিলার লেখক, প্রচ্ছদশিল্পী, গবেষক, থ্রিলার গবেষক, থ্রিলার সিনেমা পরিচালক, পুলিশ অফিসার, সাংবাদিক, থ্রিলার পাঠক, পুস্তক বিক্রেতা এবং বিভিন্ন প্রকাশক… এবার দেখা যাক কোন পথে এগিয়ে যাচ্ছে কলকাতা সহ বাংলা থ্রিলার সাহিত্য???
কলকাতা সহ বিশেষ করে মুম্বাইতে বেশ কিছু লেখক আছেন , যারা শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যক্তি বিশেষ করে পুলিশের এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট অফিসারদের জীবন আর না হলে মাফিয়াদের জীবনের নানান অধ্যায় নিয়ে লিখে চলেছেন । সেই সব লেখকরা সামনে এলেও গল্পের আসল চরিত্ররা কোনদিন পাঠকদের সামনে হাজির হননি বা প্রকাশকরাও এরকম কোন উদ্যোগ নেননি। কারণ বেশিরভাগই কল্পনায় মোড়া চরিত্র। বা পুলিশ অফিসারদের অনেকেই অনেক গোয়েন্দা গল্প উপন্যাস লিখে চলেছেন নিজেদেরকে মহৎ এবং এক সর্ব বৃহৎ বুদ্ধিমান অফিসারের ভূমিকায় পাঠক সমাজের সামনে নিজেকে প্রমাণ করতে। কিন্তু এসব কাহিনীর পিছনে কী গোপন কাহিনি থাকে যা কোনোদিনও সামনে আসে না। কারণ তারা সমাজের কিছু মানুষ যারা নিঃশব্দে এমন এমন কাজ করে চলে যা অবিশ্বাস্য এবং ভয়ঙ্কর।
সুমিতা চক্রবর্তী, প্রচেত গুপ্ত, শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ, শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী, সুস্মিতা সাহা, শ্রীমন্ত বসু, অরিত্র তুহিন দাস, সুজয় মুখোপাধ্যায়, শ্রীময়ী রায়, শাশ্বত ধর,শরণ্যা মুখোপাধ্যায়, মনীশ মুখোপাধ্যায়, ইশা দেব পাল,অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, আদর্শ মাইতি, পার্থ সারথি চক্রবর্তী, সুকান্ত দেবনাথ, তপতি সাহা, তমোজিৎ ভট্টাচার্য, সঙ্গীতা কর্মকার, সুস্মিতা বিশ্বাস, ভাস্কর হালদার, দেবানুজ দেবনাথ, হিমি মিত্র রায়, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, অভিনব রায়, সন্দীপ সেন, পিয়া সরকার, আকাশদীপ গড়গড়ি, উৎপল বল্লভ, দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়, তানিয়া কুমার, সায়ন সরকার, সৌভিক মুখোপাধ্যায়, পার্থসারথী সরকার, সোমনাথ সৌরভ কর, অপূর্ব দে, শুভম দাস, কাজল ভট্টাচার্য, গৌতম মন্ডল, সুদীপ ভট্টাচার্য, সৌরভ মুখার্জী, অভিষেক দেবরায়, দেবশ্রী ভট্টাচার্য, অভিজিৎ খাঁ, সুশ্নাত চৌধুরী, পার্থ প্রতিম দাস, সোমব্রত সরকার, সুদীপ ভট্টাচার্য, পার্থ বন্দোপাধ্যায়, অরুণ বসু, গৌরব অধিকারী, মৌসুমী রায়, দেবানি পোদ্দার,রানা দাস, অনুভা নাথ, অনন্যা সাহা ব্যানার্জি, পিয়া ঘোষ দস্তিদার, সুমেধা চট্টোপাধ্যায়, রূপম চট্টোপাধ্যায়, শ্যামলেন্দু চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ, মোঃ সৈফুল ইসলাম, অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, রনিত দাশগুপ্ত, রজত পাল, তপব্রত ভাদুড়ি, অলোক সান্যাল, সেলিম রেজা,তুষার সর্দার, অনির্বাণ মুখার্জি, তাপস বিশ্বাস, সৌভিক মাইতি, অন্তরা বিশ্বাস, সুশোভন রায়, স্বাতী তলাপাত্র, প্রীতম সেনগুপ্ত, অনিমেষ প্রামাণিক, সত্রাজিত দত্ত, সায়নদ্বীপ চট্টোপাধ্যায়, আশীষ চক্রবর্ত্তী, দেবব্রত দাস, শ্রেষ্ঠা ঘোষ, শামীম আহমেদ, সুকান্তি দত্ত, সৌভিক দাস, কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, প্রবুদ্ধ দাস, অয়ন চক্রবর্তী, দীপাঞ্জন সুরঞ্জনা চন্দ্র, সুদীপ্ত মজুমদার, পার্থ সরকার, পার্থ মুখোপাধ্যায়, পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়,ভি রামস্বামী, তন্ময় মুখোপাধ্যায়, সুস্মিতা চক্রবর্তী, শুভজিৎ রায়, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, রুদ্র গোস্বামী, সন্দীপ নায়ক, সৌরভ চক্রবর্তী, বিবেক কুন্ডু,মারুফ হোসেন সহ সমাজের এক একজন বিশিষ্ট মানুষেরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।
কলকাতা শহরে এত ভালো অনুষ্ঠান অথচ কোনও প্রথমসারির সংবাদপত্রে কোনোও সংবাদ নেই। ভোটের বাজারে এতো ভালো একটা খবর কেউ করবেও না , তাই অগত্যা আমরাই সেই দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়ে কথা বললাম অভিযান পাবলিশার্সের কর্ণধার মারুফ হোসেনের সঙ্গে । জানতে চাইলাম এই অভূতপূর্ব অভিনব উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে।
অভিযান পাবলিশার্স এর কর্নধার মারুফ হোসেন আমাদের জানালেন , – “যেহেতু অভিযান পাবলিশার্স এর থ্রিলার গল্প বা উপন্যাসের রেকর্ড হারে বিক্রি বেড়েছে সেই হেতু তাদের পাঠকদের নতুন কিছু উপহার দেবার জন্যই এই অভিনব আয়োজন । লেখক ও পাঠকদের মধ্যে আলোচনা সভা আগে হলেও এবার সেই সীমা অতিক্রম করে এখানে প্রবেশ করছেন বাস্তব চরিত্ররা যাদের জীবন থ্রিলার গল্পের উৎস।
যুগ যুগ ধরে বাঙালী এক এক জন থ্রিলার চরিত্রের কাহিনী উপহার পেয়েছেন বিখ্যাত লেখকদের থেকে । সেই সব চরিত্ররা যেমন প্রিয়নাথ গোয়েন্দা , সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা ইত্যাদিরা পাঠকদের কাছে আলোড়নকারী ও বেস্ট সেলার হলেও তাদের সঙ্গে সম্মুখে দেখা করার সুযোগ কোনদিন কেউ পায়নি ।। এবার সেই সুযোগটাই বাংলার পাঠকদের কাছে এনে দিচ্ছে অভিযান পাবলিশার্স ।
কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় এটাই আগামী মঙ্গলবার , ২১শে মে সন্ধ্যা ৬ টায় অভিযান ক্যাফেতে ” 1st Kolkata Thriller Lit Fest 24″ অনুষ্ঠানে লেখক লেখিকা পাঠক পাঠিকা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে সমাজের চরম থেকে চরমতম বিতর্কিত সমাজকর্মী রাজীব সরকার ।
প্রশ্ন ওঠে কে এই রাজীব সরকার ? সমাজকর্মী রাজীব সরকারের নাম টা শুনেই আমাদের উৎসাহ আরো বেড়ে গেল । সেই রাজীব সরকার , যিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ অবধি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সহ ভারতবর্ষের ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বছরের পর বছর নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করে একের পর এক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছিলেন। সে সব এমন ভয়ঙ্কর বিষয় যা যে কোনো থ্রিলার লেখক লেখিকার কল্পনায় ভাবতেই পারবেন না। ২০১২ থেকে ২০১৭ ছিল বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের স্বর্ণযুগ। সমাজকর্মী রাজীব সরকার , একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান আই পি এস জাভেদ শামীম ও আই পি এস কঙ্কর প্রসাদ বারুই কে সাহায্য করে সমগ্র রাজারহাটের – উত্তর ২৪ পরগনা – সাউথ ২৪ পরগনার বুকে গজিয়ে ওঠা নানাবিধ অপরাধের শাখা যেমন নিষিদ্ধ নেশার আখড়া , নারী পাচার চক্র , অবৈধ ডান্স বার ব্যবসা ভেঙেচুরে নির্মূল করো দিয়েছিলেন।
কিন্তু ২০১৭ সালে রহস্যজনক ভাবে গ্রেফতার হন রাজীব সরকার নিজেই। দীর্ঘ ১৬ মাস সংশোধনাগারে ও পরবর্তীকালে শহরের বাইরে আরও ১৭ মাস গৃহবন্দী অবস্থায় থাকার পর বর্তমানে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যেমন একদিকে বিচারাধীন, আবার অন্যদিকে সম্প্রতি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকেও রাজীব সরকারের গ্রেফতারীর পিছনে কি গভীর ষড়যন্ত্র ছিল, সেই বিষয়ে তা নতুন করে তদন্ত করে দেখা হবে বলে বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছেন। বর্তমানে আবার রাজীব সরকারের জীবনহানির আশঙ্কা করে তার বাড়ির সামনে পুলিশি টহল এবং রাতে বন্দুকধারী দুজন পুলিশকর্মীর ব্যবস্থা করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
রাজীব সরকার তার সমাজিক মাধ্যমে ২০২২ থেকে তার বাবা মায়ের নির্মম মৃত্যুর পর থেকেই প্রকাশ্যে একাধিক বার প্রায় চিৎকার ভঙ্গিমায় লিখেছেন কেন বা কী কী কারণে তাকে প্রশাসনিক কিছু ষড়যন্ত্রকারী অপরাধ জগৎ ও দুর্নীতি বজায় রাখার জন্য গ্রেফতার করেছিলেন, যে কথা গুলো একেবারেই মিলে যায় ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আবহে বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের শাসক দলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুনাল ঘোষের কথায়।। তাদের উভয়ের বক্তব্যে পরিস্কার , যে ২০১৬ সাল থেকেই রাজ্যে দুর্নীতির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল এবং ২০১৭ সাল থেকে যা শৈল চূড়ার আকার ধারণ করেছে ।
২০১৮ – ২০১৯ সালে, আমরা যখন রাজীব সরকারের গৃহবন্দী অবস্থার পরে, তার জীবনের অপর একটি তথ্যচিত্র করতে যাই , সেই সময় আমাদের কেও কম হুমকির সামনে পড়তে হয়নি !!! আমাদের কেও বলা হয়েছিল , দ্রুত এই তথ্যচিত্র বন্ধ করতে নাহলে আমাদেরকেও একই ভাবে রাজীব সরকারের মতো ফল ভোগ করতে হবে ।। আমাদের উচিত দাড়ি কেন বাড়ে , বা ট্রাক ড্রাইভার দের জীবন নিয়ে তথ্যচিত্র করা । কিন্তু তার পরেও আমরা রাজীব সরকারকে নিয়ে দুটি তথ্যচিত্র তৈরী করি যা এখনো অসুস্ম্পূর্ন। কারণ মানুষটা একটা জীবনে এত এত অভাবনীয় এমন এমন কাজ করেছে যা কেউ স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারবে না। দেড় ঘণ্টার দুটো তথ্যচিত্র বানানোর পর এখনও অসম্পূর্ণ। কারণ রাজীব সরকার নিজেই একজন জীবন্ত থ্রিলার। লেখক লেখিকারা থ্রিলার লেখেন, রহস্য রোমাঞ্চকর গল্প উপন্যাস লেখেন, অথচ রাজীব সরকার নিজেই একজন মিথ। যাকে নিয়ে কত রকমের গল্প রয়েছে যা অভাবনীয়।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ২০১২- ১৭-র সেই স্বর্ণযুগ আর কোনদিনও ফিরবে না। আর কোনদিন কোন সাধারণ মানুষ অপরাধ জগতের বিরুদ্ধে মুখ খুলে এবং নিজের পরিবার সহ নিজের জীবন নিয়ে খেলা করে নিজে এগিয়ে এসে পুলিশ প্রশাসনকে আর কখনো কেউ কোনো সাহায্য করবে না। তবুও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট রাজীব সরকারের গ্রেফতারির পিছনে যে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ছিল, সেই গভীর ষড়যন্ত্রের কারণ এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত ও বিবেচনা করে দেখার সিদ্ধান্তকে আমরা কুর্নিশ জানাই। কুর্নিশ জানাই আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। আমরা একসঙ্গে শুভেচ্ছা জানাই বর্তমান বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনার শ্রী গৌরব শর্মা সহ ও তার পুরো টিমকে। যারা এতদিন বাদে একজন নিরপরাধ মানুষকে ন্যায্য বিচার দেবার কথা ভাবছেন। এই রাজীব সরকারকে বাঁচিয়ে রাখাও আমাদের নিজেদের স্বার্থে যেমন প্রয়োজন, ঠিক ততটাই প্রয়োজন আমাদের সমাজেরও .
এ বিষয়ে অভিযান পাবলিশার্স এর কর্ণধার মারুফ হোসেন কে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম — ‘জেলখাটা রাজীব সরকারকেই কেন’? তিনি উত্তরে বললেন, ‘অপরাধ জগত কে বিনষ্ট করতে রাজীব সরকারের অনেক অবদান আছে, তার জীবনে রয়েছে সাংঘাতিক বাস্তবিক থ্রিলার যা মানুষ জানতে পারবে, আর ভুল মানুষ মাত্রেই হয়, আবার মানুষরাই প্রশাসন চালায়। হতেই পারে প্রশাসনের কিছু ভুল রাজীব সরকারের প্রতি হয়েছিল জেনে শুনে বা অজান্তে’ ।।
ইতিহাসে বলে ২১শে মে দিনটা খুব একটা ভালো নয়। ১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরামবুদুরে এক আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। উক্ত বিস্ফোরণে রাজীব ছাড়াও আরও চৌদ্দ জন নিহত হয়েছিলেন।
ইতিহাস বার বার ফিরে আসে। ঘটনাচক্রে আবারও সেই ২১শে মে।সেই অভিশপ্ত দিনে আবারও আর এক রাজীব। তাহলে কি এবার আবার এক নতুন বিস্ফোরণ হবে ??? সেটা জানার জন্যই আমরাও ঐ দিন উপস্থিত থাকবো অভিযান পাবলিশার্স এর ক্যাফেতে । সমাজের সকলে আসা উচিত সেদিন কী কথা বা শব্দের বিস্ফোরণ হয়। অনেকে উৎসাহী সেদিন কী বলেন একজন মানুষ যে নিজেই একজন জীবন্ত থ্রিলার, রহস্যময় এক একটি অধ্যায়ের উপন্যাস এবং সে সমাজের বিভিন্ন মানুষের কাছে এক এক রকমভাবে অতি রহস্যজনক মিথ। আজকের সমাজে এমন বিচিত্র মানুষ আর দ্বিতীয় আছে কিনা আমাদের জানা নেই।