আবারও এক ঐতিহাসিক গণ অভুত্থানের দিন দেখলো দুনিয়া।অবশেষে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে জয়ের পথ দেখলো অপার বাংলার নাগরিক তথা সমগ্র বিশ্ববাসী। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শেখ হাসিনা। একই সাথে দেশ ছাড়লেন বলেই সুত্রের খবর। ইস্তফা দেবার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি ইস্তফা দেবার পর সামরিক বিমানে দেশ ছাড়েন। আপাতত সুত্রের খবর তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। অভুত্থানের কারণে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের গনভবন টি চলেগেছে জনগণের দখলে। প্রশাসনিক কোন প্রতিরক্ষা বাহিনী জনগণ কে বাধা দেয়নি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে তদারকি সরকার গঠন হচ্ছে। তথ্যপ্রদান কারীর সূত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফ থেকেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয় ইস্তফা দেবার জন্য। যদিও শোনা যাচ্ছে গোটা বিষয়টিই দিল্লির সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলোচনার ফল। আর এর পরেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেন সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তৎক্ষনে শেখ হাসিনার বিমান বাংলাদেশ আকাসীমা অতিক্রম করেছে। আপাতত বাংলাদেশে তদারকি সরকার গঠন হচ্চে আর একবছর পরে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হবে।
কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছিল যেখানে দাবি ছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগ। গত রবিবার বিক্ষোভকারী দের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হবার পর থেকেই পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। সোমবার হাসিনা পদত্যাগ করার পরেই তিনদিন সরকারী ছুটি ঘোষনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। লাখো লাখো মানুষ ঢুকে পড়েছে শেখ হাসিনার বাস ভবন “গণ ভবনে”। আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিলো কোটা সংস্কারের দাবি কেন্দ্র করে। সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়মের বিরুদ্ধে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিলেন ছাত্র ছাত্রীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নয় দফা দাবিতে আন্দোলন জারিছিলো। রবিবার সেই আন্দোলনের হিংসা ছড়ায় সাংঘাতিক রকমের যেখানে মৃত্যু হয় ৩০০ বেশী মানুষের। সোমবার পরিস্থিতি আরো জটিল হবার পর শেখ হাসিনা বাধ্য হন ইস্তফা দিতে।
হাসিনার দল আওয়ামীলীগ এর জন্য ৫ই আগস্ট হয়ে রইলো এক কালো দিন। ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ও আওয়ামীলীগের জনক ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান। তিঁনিই ছিলেন শেখ হাসিনার পিতা। তার ডাকেই পূর্ব বঙ্গের ৩৫ লক্ষ মানুষ পাক সেনার সাথে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন। সেই মুজিব হত্যার মাসেই তার দুই কন্যা কেই দেশ ছাড়তে হলো, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।