Home » বাফোমেট এর মূর্তি তৈরী হচ্ছে কলকাতায়।। কিন্তু কেন ?

বাফোমেট এর মূর্তি তৈরী হচ্ছে কলকাতায়।। কিন্তু কেন ?

পুজো আসছে, যদিও সময় টা একদমই ভালো না। রাজনৈতিক আবহাওয়ায় কলকাতা এখন বিধ্বস্ত। সাম্প্রতিক মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় হত্যার ঘটনায় বাংলার প্রতিটি মানুষ মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে বিচার চাইছেন। মিটিং মিছিল অবস্থান, অবরোধ প্রতি মুহূর্তে হয়ে চলেছে। আনন্দ প্ৰিয় আমুদে বাঙালি যেন হটাৎ করেই কোন কালো জাদুর বশবর্তী হয়ে তার নিজের চরিত্র বদলে ফেলেছে। কিন্তু এর মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে বাফোমেট এর ছবি।

বাফোমেট

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি টি দেখে বোঝা যাচ্ছে মূর্তি টি তৈরী করা হচ্ছে কোন কে মৃৎশিল্পীর ষ্টুডিও তে। সম্ভবত উত্তর কলকাতার বিখ্যাত কুমারটুলি এলাকার হতে পারে। মূর্তিটির আনুমানিক উচ্চতা হতে পারে ৪ থেকে ৫ ফুটের এবং যেসব উপকরণ দিয়ে মূর্তিটি বানানো হচ্ছে টা দেখে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন মূর্তিটি সাময়িক নয় বরং চিরস্থায়ী কারণে তৈরী করা হচ্ছে, হয়তো শিল্পীকেও কেউ বরাত দিয়ে থাকতে পারেন।

প্যারানরমাল গবেষক ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত

আমরা এই মূর্তিটির বিষিয়ে জানতে চেয়েছিলাম প্ৰখ্যাত প্যারানরমাল গবেষক ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের কাছে। তিনি আমাদের পরিষ্কার ভাবে জানালেন মূর্তিটি বাফোমেট এর মূর্তি। যারা পাশ্চাত্য তন্ত্র বিদ্যায় বিশ্বাসী তারা এই দেবতাকে সবার আগে প্রসন্ন করেন। এই মূর্তি তৈরী তেও রয়েছে নানান বিধান। যেমন আমাদের মা দুর্গার মূর্তি তৈরী করতে গেলে বারবনীতার চৌকাঠের মাটি লাগে তেমনি বাফোমেট এর মূর্তি তৈরীর প্রাথমিক উপাদান হলো মানুষের রক্ত ও হাড়। এবং এর উপাসনার প্রধান উপকরণ মানুষের রক্ত। ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত আমাদের আরো জানান, এই মূর্তি কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই বানানো হচ্ছে। হয়তো দূর্গা পুজোয় থিমের দোহাই দিয়েই এই মূর্তি কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে এবং গোপনে এর আরাধনা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই দেবতার আরাধনা কালা জাদু বা তন্ত্রবিদ্যা চৰ্চা যারা করেন তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়।

ইলুমিনাতি

ইলুমিনাতি হলো গুপ্ত বিদ্যার, আন্তর্জাতিক গুপ্ত সংস্থা। যারা ভীষণ রকম ক্ষমতাশালী। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এদের গুপ্ত সদস্যরা থাকেন। এখানে কেউ চাইলেই সদস্য হতে পারেন না, এখানে ইলুমিনাতির দায়িত্বব প্রাপ্ত সদস্যই পারেন নির্ধারণ করতে। মূলত বাছাইকরে ভীষণ দরিদ্র পরিবার বা ব্যক্তিকেই বেছে নেওয়া হয় এবং তাদের জীবন শয়তানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে তাদের বিভিন্ন রকমের রাজকীয় সুযোগ সুবিধার পরিবর্তে তাদের দিয়েই নানান প্রকার অন্ধকার জগতের নিম্নমার্গের কাজ করানো হয়।

মূলত এরা ডার্ক ওয়েবে যোগাযোগ ও কার্যকলাপ চালিয়ে যান। যেকোনো ধর্মের উপাসনার উচ্চ ও নিম্ন মার্গ থাকে। ঠিক যেমন আমাদের হিন্দু ধর্মের তন্ত্র সাধনায় ডাকিনি যোগিনী পিশাচ বিদ্যা আছে। প্রাচ্যে নাহলেও পাশ্চাত্যয়ে শয়তানের উপাসনা গৃহ আছে।

এসব সাধনা বা উপাসনাই চলে ভীষণ গোপনীয়তার সাথে বা শহর থেকে দুরে কোথাও গিয়ে। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে কলকাতায় এতো বড় শয়তানের মূর্তি কেন বানানো হচ্ছে? কি উদ্দেশ্যে?? করাই বা করতে দিয়েছে এই মূর্তি??? প্রশাসন এ বিষয়ে কতটা অবগত?? ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের মতে, এই মূর্তি বানানোর উদ্দেশ্য খুব একটা ভালো নাহওয়াই স্বাভাবিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!