অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
আজ সেই ২৭শে আগস্ট, যেইদিনের জন্য অনেক আয়োজন করেছে সকল ছাত্রসমাজ। ঐদিন সকাল থেকে কলকাতা রাস্তায় জমায়েত হয়েছে পুলিশ প্রশাসন এবং মোড়ে মোড়ে রয়েছে বেরিকেড। যদিও এই আন্দোলনে অনুমতি পুলিশের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি, তবুও এই আন্দোলন থেমে নেই। আন্দোলনের দাবি রাজ্য সরকারের পদত্যাগ। পদত্যাগের কারণ কারণ আর জি কর কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দোষী বা দোষীদের আড়াল করা হচ্ছে বলে ধারণা সকল ছাত্র সমাজের, আড়াল করছেন রাজ্য সরকার। কিন্তু এই যে আন্দোলন চলছে আন্দোলনে জমায়েত হয়েছে বহু ছাত্র ছাত্রীগণ। বেশিরভাগ ছাত্রদের বয়স আনুমানিক পঞ্চাশোর্ধ । প্রশ্ন হল এই বয়সী ছাত্র কোন কলেজ বা স্কুলে পড়ে? তারা কি আদৌ ছাত্র না শিক্ষক বোঝা মুশকিল।
আচ্ছা আর জি কর এর নৃশংস ঘটনার জন্য রাজ সিংহাসন থেকে রাজার পদত্যাগ এর ঘটনা কি রাজনৈতিক দিককে বোঝাচ্ছে না? নৃশংস ঘটনা রাজনৈতিক দিকে মোড় নেওয়ায় কি সেই নির্যাতিতা ও মৃতা অভয়া বা তিলোত্তমা কে ন্যায় এনে দিতে পারবে? ছাত্রদের দাবি হওয়া তো উচিত ছিল দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে চলতে থাকবে। কিন্তু তা না হয়ে এই আন্দোলনে দুর্গাপূজার জন্য পাওয়া সরকারি অনুদানকে প্রত্যাখ্যান করছে বহু ক্লাব কমিটি।
এই আন্দোলন আকার নিল ‘রাম ও বাম’। আর জি করের তরুণী মৃতা অভয়ার রক্তচাপ্রতি কে নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক খেলা। এই কি তবে ন্যায় বিচার চাওয়ার নতুন পদ্ধতি?
তখন চলতি সরকারের পদত্যাগ পর্যন্ত বিষয়ে গড়িয়েছে তবে কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে সেই সকল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে। যারা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে তারা কি কেউ সরকারি অনুদান গ্রহণ করেন না? তারা কেন তাদের ঘরের মা-বোন কেউ কি লক্ষীর ভান্ডার, রূপশ্রী বা কন্যাশ্রী উপভোগ করেন না? রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করেন না? পুজোর সময় সরকারি বোনাস ফিরিয়ে দিতে পারবে? কেউ কি পারবে এই সকল অনুদান কে প্রত্যাখ্যান করতে? ঠিক যেমনটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ এর সময় ইংরেজদের দেওয়া নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। জোর দিয়ে বলা মুশকিল চলতি সরকারের পদত্যাগে এইরূপ নির্যাতন বা এই রূপ মৃত্যু আর কেউ বরণ করবে না।