অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হয়ে ওঠার প্রতিযোগিতায় ভারত তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। এই প্রতিযোগিতায় রাশিয়া ও জাপানকে হারিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে উঠেছে ভারত।অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, শক্তিশালী হওয়ার প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা ও চীন। অবশ্য এই পথে হাঁটার কথা জাপানও থাকতে পারতো কিন্তু সমীক্ষায় উঠে এসেছে জাপানের অর্থনৈতিক ঘাটতির কারণে শক্তিশালী হওয়ার প্রতি যোগিতায় পিছিয়ে টোকিও চতুর্থ স্থানে নেমেছে।
২০২৪ সালের এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে এই অঞ্চলের শক্তিকেন্দ্রের পরিবর্তন ধরা পড়েছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী, কিন্তু চিনের দিক থেকে ক্রমে সামরিক চাপ বাড়ছে। প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক এবং অন্যান্য শক্তির ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। যেমন সামরিক ক্ষেত্রে চিন অনেকটা এগোলেও, তাদের সামগ্রিক প্রভাব বাড়েওনি, কমেওনি। এই সমীক্ষার মূল ফলাফল হল, চিনের শক্তি এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অনেক কম। কিন্তু এশিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে তারা অনেক উপরে আছে।
ভারত সম্পর্কে সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত ধীরে হলেও ক্রমে উপরে উঠছে। জাপানকে টপকে ভারত এশিয়ার তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তবে, ভারতের হাতে যে সম্পদ রয়েছে, তার যা সম্ভাবনা, সেই সম্ভাবনাকে এখনও ছুঁতে পারেনি তারা। এশিয়ায় ভারতের শক্তি বাড়ছে। জাপানকে টপকে প্রথমবারের মতো তারা তৃতীয় স্থান দখল করেছে। তবে, “ভারতের উত্থান” নিয়ে যে প্রত্যাশা, আর বাস্তব ছবিটার মধ্যে এখনও স্পষ্ট ব্যবধান রয়ে গিয়েছে। এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে দেখা যাচ্ছে, এখনও মালাক্কা প্রণালীর পূর্বে শক্তি এবং প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নয়া দিল্লির ক্ষমতা সীমিত। তবে, এর প্রভাব প্রতিশ্রুত স্তরের নীচে থাকার অর্থ, একটি প্রধান শক্তি হিসাবে আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের।”