Home » আর জি কর কাণ্ড নিয়ে – “আগমনী – তিলোত্তমাদের গল্প”

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে – “আগমনী – তিলোত্তমাদের গল্প”

অম্বিকা কুন্ডু, কলকাতা
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্ট । সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রীকে সাদা কোট ,হাতের স্টেথোস্কোপ নিয়ে ও মাথায় মুকুট ও নাকে নথ পরিহিতা এবং কাশবনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজন্যা হালদার কে। আসলে পোস্টটি হল আর জে করার পটভূমিতে আগমনী তিলোত্তমাদের গল্প অবলম্বনে একটি দৈর্ঘ্যের ছবি অর্থাৎ শর্ট ফিল্ম। এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে নেত্রী রাজন্যা হালদার কে। এই ছবি র পরিচালক এবং মূল ভাবনাকারী তৃণমূল নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী। এই ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে মহালয়ার দিন অর্থাৎ ২রা অক্টোবর।
এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়া আসা মাত্রই নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রশ্নগুলি ছিল এই ছবির বিষয়বস্তু কি ? এতে আর জি কর কাণ্ডের ছাপ থাকবে কিনা? অনেকে আবার এও প্রশ্ন তুলেছেন ‘একটা বিচারাধীন বিষয় নিয়ে যখন সবার সামনে আলোচনা করা যায় না,এমনকি লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিওগ্রাফি সবেতেই উত্তর আসে ‘না’-তখন সেই বিষয়ে আদ্যোপান্ত ‘নাম’ নিয়ে কীভাবে তৈরি হয় সিনেমা? এতটা দুঃসাহস হয় কীভাবে!’


পোস্টটি ভাইরাল হওয়া মাত্রই বিজেপি নেতা রুদ্রনীল বলেন ‘আমার ছবির বিষয়বস্তু জানা নেই। তবে এটা ঠিক বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে কাজ করা যায় না। সেটা নিয়মের বাইরে, আইনের বাইরে। যদি সত্যি এতে আরজি কর কাণ্ডের কিছু থেকে থাকে, তবে তা আগুনে হাত দেওয়া হবে। আর যদি না থাকে, তবে তো কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। আমরা সকলেই চাই বিচার হোক। তবে কোনও বিচারই রাতারাতি সম্ভব নয়। বিচার চলছে, তবে এসব ক্ষেত্রে ধৈর্য্য রাখতে হবে, ততদিন এই বিষয়গুলোতে কোনওভাবেই না ঢোকা উচিত বলে আমার মনে হয়। ছবি তো বিশাল এক মাধ্যম, সেখানে কিছু দেখানোর হলে একটু বেশি সচেতনতার প্রয়োজন। নয়তো সেন্সর বোর্ডের উপর দায় বর্তায় যাতে বিষয়টাকে খতিয়ে দেখা হয়। আবারও বলছি, মানুষ লেখালেখি করছেন বলে চোখে পড়েছে, এতে আদপে আরজি কর কাণ্ডের কিছু আছে কি না তা আমার জানা নেই। না থাকাই বাঞ্ছনীয়।’

ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে রাজন্যা হালদার বলেন ‘কোনও ন্যারেটিভ সেট করার বিষয় নেই। কোনও তদন্তের বিষয়, বিচার ব্যবস্থা বা কোনও তথ্যের সঙ্গেও কোনও যোগসূত্রই নেই এই ছবির। যাঁরা এই প্রশ্নগুলো তুলছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলব, আসবেন, এসে ছবিটা দেখবেন, তারপর বিচার করবেন। প্রেক্ষাগৃহে বা ওটিটিতে, বা ফেসবুক-ইউটিউবে যেখানেই মুক্তি পাক না কেন, আগে ছবিটি দেখার আবেদন রইল। না দেখে সবক্ষেত্রে বিচার করবেন না।’

এবং প্রান্তিক চক্রবর্তী বলেন ‘ছবির নাম আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প। আগমনী শব্দটার সঙ্গে আমার মনে হয় না কোনও তদন্তের বিষয় যুক্ত থাকতে পারে বলে। তিলোত্তমা কিন্তু শহর কলকাতারও নাম। তাই এই দুয়ের সঙ্গে একেবারেই বিচারের কোনও কিছুর সংযোগ নেই। আমরাই পোস্টারের ওপরে লিখেছি, আরজি কর ঘটনার পটভূমি। তার মানে আরজি কর ঘটনা নয়, আরজি কর কাণ্ডের সময়কালীন এই ঘটনা। আমরা এই বিচারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছি না। আমার মনে হয় না কোনওদিনই কোনও বিচারাধীন বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত। এটা একটি প্রতিবাদের গল্প, এটা একটি আবেগের গল্প। আমার মনে হয়েছে এই শহরের বুকে তিলোত্তমা একটি প্রতিবাদের নাম হয়ে উঠেছে। আমরা সেই প্রতিবাদের গল্প বলছি। যে বিচার চলছে, তদন্ত চলছে, তার সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই আমাদের ছবিটির।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!