বাংলা সঙ্গীত জগতের প্রখ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আজ সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়েছিল। সোমবার রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়, এবং আজ সকালে তিনি প্রয়াত হন।

প্রতুল মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর পরিবারসহ পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ায় স্থায়ী হন। প্রথাগত সঙ্গীত শিক্ষা না থাকলেও, নিজের আবেগ ও সৃজনশীলতা দিয়ে বাংলা সঙ্গীত জগতে বিশেষ স্থান অর্জন করেন।

তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮) অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে মিলে প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘যেতে হবে’। সর্বশেষ ২০২২ সালে ‘ভোর’ অ্যালবামে তাঁর অপ্রকাশিত গানগুলি সংকলিত হয়।
‘আমি বাংলায় গান গাই’ সহ ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’ প্রভৃতি গান দিয়ে তিনি শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর সৃষ্টিগুলি বাংলা সঙ্গীতের ধারায় অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছে।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি চিরকাল বাংলার হৃদয়ে বেঁচে থাকবে